বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়ন চায় অনার্স ৪র্থ বর্ষে শিক্ষার্থীরা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৪৯ পিএম, ২ নভেম্বর ২০২০ সোমবার
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। বেশির ভাগ বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হলেও দুটি থেকে পাঁচটি বিষয়ের পরীক্ষা আটকে যায়। এ অবস্থায় কবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আর কবে হবে পরীক্ষার ফলাফল -এসব নিয়ে উত্কণ্ঠা আর হতাশা দানা বাঁধছে শিক্ষার্থীদের মনে। এ কারণেই বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিক্ষাজীবন এগিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা এসব দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, করোনা তাদের সব প্রত্যাশা শেষ করে দিয়েছে। কয়েকটি পরীক্ষা অসমাপ্ত থাকায় তাদের সবকিছু আটকে আছে। এতে দীর্ঘ সেশনজট হতে পারে। তারা অনলাইনে পরের বর্ষের ক্লাসে অংশ নিতে পারছেন না। চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে গ্রাজুয়েশন শেষ না হাওয়ায় চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। এছাড়া স্বাভাবিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অসমাপ্ত পরীক্ষা নিলেও নির্ধারিত সময়ে ফল প্রকাশিত হবে কি-না এ নিয়েও তারা সন্দিহান।
মানববন্ধনে মো. আনিসুর রহমান আবির নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা অনার্স কোর্সের তিনটি বছর পাশ করে চতুর্থ বর্ষের পাঁচটি পরীক্ষা দিয়েছি। কিন্তু মহামারির কারণে আমরা তিনটি পরীক্ষা না দিতে পারায় আমাদের জীবন থেকে আটটি মাস হারিয়ে গেছে। তাই আমাদের আগের তিন বছরেরে রেজাল্ট ও পাঁচটি পরীক্ষার উপর গড় পদ্ধতিতে রেজাল্টের দাবি জানাচ্ছি। আর যদি রেজাল্ট দেয়া সম্ভব না হয়, তাহলে চলমান সকল সরকারি নিয়োগে অনার্স সমমান পর্যায়ে আবেদন করার সুযোগ দেয়া হোক।
মো. সজিব মিয়া নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা যারা রেজাল্ট প্রত্যাশী, এদের বেশিরভাগই দরিদ্র অথবা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। সে কারণে পরিবারের একটা প্রত্যাশা থাকে খুব দ্রুত পড়াশোনা শেষ করে পরিবারের হাল ধরব। কিন্তু আমাদের রেজাল্ট প্রকাশিত না হওয়ায় আমরা বিভিন্ন চাকরির নিয়োগের আবেদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তাই আমাদের জোর দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে অনুষ্টিত পাঁচটি পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে রেজাল্ট প্রকাশ করুন। আর না হয় সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে অনার্স সমমান পর্যায়ে আবেদন করার সুযোগ দিন।’
পরীক্ষা প্রসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার এক দুই সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া যাবে। আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে অন্য কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হলে সেটা ভিন্ন কথা। এই স্তরের শিক্ষায় স্বয়ংক্রিয় পাশ দেওয়া ঠিক হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনার্স চতুর্থ বর্ষের (২০১৫-১৬) শিক্ষার্থীদের আয়োজনে উক্ত মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, ছাত্রলীগ নেতা মো. আবু হানিফ অপু, মো. পারভেজ সিরাজী, উম্মে সালমা, সুমনা আক্তার প্রিয়া, মো. আশিকুর রহমান, মো. আরমান খান।
টিআই//