লজ্জার ইতিহাস সৃষ্টি করে হারল পাকিস্তান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০৬ এএম, ৪ নভেম্বর ২০২০ বুধবার
পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি টাই হলে খেলা যায় সুপার ওভারে। জয়-পরাজয় নির্ধারণী ওভারের প্রথম বলেই আউট মোহাম্মদ ইফতিখার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে সিঙ্গেল। চতুর্থ বলে বোল্ড হন খুশদিল শাহ। আর তাতেই সৃষ্টি হলো লজ্জার ইতিহাস, কেননা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুপার ওভারে এটাই সবচেয়ে কম রানের ইনিংস।
গতকাল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয় সুপার ওভারে মাত্র ৩ রানের লক্ষ্যে নেমে শাহীন আফ্রিদির প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন ব্রেন্ডন টেইলর। দ্বিতীয় বল ডট হলেও তৃতীয় বলে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন সিকান্দার রাজা। আর এই জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো জিম্বাবুয়ে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।
জিম্বাবুয়ের ছুঁড়ে দেয়া ২৭৯ রানের টার্গেটে নেমে ৮৮ রানেই ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ষষ্ঠ উইকেট পড়লো দলীয় ১৫১ রানে। সপ্তম উইকেটে বাবর আজম-ওয়াহাব রিয়াজের রানের জুটিতে ম্যাচটা প্রায় বেরই করে ফেলেছিল পাকিস্তান।
দলীয় ২৫১ রানে ওয়াহাব আউট হলে আবার ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় জিম্বাবুয়ের দিকে। ৫৬ বলে ৫২ রান করেন ওয়াহাব। শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য ২০ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের, হাতে ৩ উইকেট। ব্লেসিং মুজারাবানির করা ৪৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান বাবর আজম। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে প্রান্ত বদল করেন তিনি। এরপরই নাটক। পঞ্চম বলে শাহীন আফ্রিদি ও ষষ্ঠ বলে আউট হয়ে যান বাবর।
১২৫ বলে ১২৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যান বাবর। শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন হয় ১৩ রান। এনগাভারার করা প্রথম বলে চার হাঁকান মুহাম্মদ মুসা। পরের পর সিঙ্গেল। তৃতীয় বল ডট। চতুর্থ বলে আসে ২ রান। পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নেয়ায় শেষ বলে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ৫ রানের। মুসার বাউন্ডারিতে ম্যাচ হয়ে যায় টাই।
তারপর পাকিস্তান যা করলো তা হয়তো ইতিহাসে অনেক দিন অক্ষুণ্ন থাকবে। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৪৯ রানে ৫ উইকেট নেন পেসার মুজারাবানি।
এর আগে শন উইলিয়ামসের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। ১৩৫ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন উইলিয়ামস। ১৩ চারের সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকান এই বাঁহাতি। এছাড়া উইকেটরক্ষক ব্রেন্ডন টেইলর ৫৬ ও সিকান্দার রাজা করেন ৪৫ রান।
পাকিস্তানের হয়ে পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন ১০ ওভারে ২৬ রানে নেন ৫ উইকেট। ওয়ানডেতে এটি তার সেরা বোলিং ফিগার।
এএইচ/ এসএ/