হোয়াইট হাউসে যে-ই আসুক বাংলাদেশের সমস্যা নেই: মোমেন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৪১ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০২০ বুধবার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি ব্যক্তি-নির্ভর নয় উল্লেখ করে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প বা জো বাইডেন যে-ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে হোয়াইট হাউসে আসুক তাতে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা নেই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পর্কে ড. মোমেনের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্ষমতায় যে-ই আসুক, আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ডেমোক্রেটিক চ্যালেঞ্জার জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে এবং আমেরিকার জনগণ এখন মূল যুদ্ধক্ষেত্রের ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন।
কারা নির্বাচনে বিজয়ী হবে তা বলার সময় এখনো হয়নি উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ঢাকা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ফ্রন্টে পরবর্তী মার্কিন সরকারের সাথে ঘনিষ্টভাবে কাজ করবে। ‘আমরা নিরপেক্ষতা বজায় রাখি। আমাদের কোনো দেশের সাথে শত্রুতা নেই। আমেরিকার সাথে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে’ যোগ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি খুব ভাল করছে এবং দেশ ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে।’
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মঙ্গলবার বলেছিলেন যে, মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে বিদ্যমান স্থিতিশীল ও ঊর্ধ্বমুখী সহযোগিতায় বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। কারণ এই সম্পর্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রেসিডেন্ট বা দলের ওপর নির্ভরশীল নয়।
তিনি বলেন, ‘মার্কিন সম্পর্ক ব্যক্তি বা দলের ওপর নির্ভর করে না… এমন (বাংলাদেশ-মার্কিন) সম্পর্ক প্রতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্য দিয়ে যায়।’
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বিদ্যমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখার ব্যপারে আশাবাদী এবং আমেরিকার বাজারে স্থগিত থাকা বাণিজ্য অগ্রাধিকার পুনরুদ্ধারে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগান সম্প্রতি নয়াদিল্লির পর তিন দিনের ঢাকা সফর করেন। তখন তিনি ইঙ্গিত দেন যে, তার দেশ বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি ‘কেন্দ্রস্থল’ হিসাবে দেখে থাকে।
সফরকালে মাসুদ বলেছেন, কোনো মার্কিন রাজনৈতিক দলের দৃষ্টিভঙ্গিকে ফোকাস না করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের নীতিমালা অনুসারেই সব আলোচনা হয়েছে।
সফর শেষে বিগান বলেছেন যে, তাদের একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তবে তিনি তার আত্মবিশ্বাসের পুনরাবৃত্তি করেন যে নির্বাচনের ফলাফল নির্বিশেষে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল।
এসি