চট্টগ্রামে জেনারেল হাসপাতালে করোনার এন্টিবডি পরীক্ষা শুরু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৯ এএম, ৫ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার
চট্টগ্রামে জেনারেল হাসপাতালের উদ্যোগে শুরু হয়েছে করোনা এন্টিবডি পরীক্ষা। এক সপ্তাহে একশ’ ২৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৫ ব্যক্তির শরীরে এন্টিবডির উপস্থিতি শনাক্ত করেছেন গবেষক দল। ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত এন্টিবডি টেস্টের পাশাপাশি এন্টিজেন টেস্টের তাগিদ দিয়েছেন গবেষকরা। এর মাধ্যমে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে বলে মত তাদের।
করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে বিশ্বব্যাপী তিন ধরনের টেস্ট চালু থাকলেও বাংলাদেশে চালু আছে একমাত্র আরটিপিসিআর পরীক্ষা। তবে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সীমিত আকারে চালু হয়েছে এন্টিবডি টেস্ট।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হওয়া ৮২ জন এবং বিভিন্ন হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সসহ করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা আরও ৪৪ জনের এন্টিবডি পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ৪৫ জনের শরীরে এন্টিবডির শতভাগ উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে কারও কারও এন্টিবডি দুর্বল পর্যায়ের বলে উল্লেখ করেন গবেষকরা।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মোহাম্মদ মোজাহের উদ্দীন চৌধুরী জাবেদ বলেন, আরটিপিসিআর নেগেটিভ হওয়ার পরে শারীরিক কি কি অসুবিধা দেখা দিচ্ছে এগুলোর সবই আমরা নোটআপ করছি। একটা ফর্মের মধ্যে ৩২টি প্রশ্ন আছে, এই প্রশ্নগুলো পূরণ করে ডাটাবেইজে দেওয়া হচ্ছে।
এই পরীক্ষার মাধ্যমে আক্রান্ত কিংবা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা খুব কম সময়ে এন্টিবডির উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারছেন। এতে ঝুঁকি নিরূপণ সহজ হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, কোভিড টেস্টে আরটিপিসিআর পদ্ধতি ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। জরুরি চিকিৎসার জন্যে আরটিপিসিআর-এর বদলে এন্টিজেন-এন্টিবডি পরীক্ষা সহজ ও সাশ্রয়ী পদ্ধতি।
গবেষক দলের প্রধান এবং চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ আবদুর রব বলেন, ল্যাবে আরটিপিসিআর মেশিনে যে খরচ তার চেয়ে এগুলোতে খরচ কম। শুধু কিট কিনে যে কোন লেভেলে উপজেলা বলেন ইউনিয়ন লেভেল বলেন প্রত্যেক ল্যাবে এই টেস্টটা করা সম্ভব। তাই এই টেস্টকে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেয়াও সম্ভব।
এই পরীক্ষা কার্যক্রম দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে এবং করোনা মোকাবেলায় তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে বলে মত গবেষকদের।
ডা. মোহাম্মদ আবদুর রব আরও বলেন, যারা সিভিআর ছিল তারা কি বেশিদিন ধরে আছে, না তাদেরও একই সময়ে ডিক্লেয়ার হয়ে যাচ্ছে। মাইল্ড, মডারেট, সিভিয়ার সবারই একইরকম ভাবে ডিক্লেয়ার হয়ে যাচ্ছে। এই তথ্যগুলো জেনে পরবর্তী প্ল্যানিং করাটাই উদ্দেশ্য।
সরকারি উদ্যোগে এন্টিজেন-এন্টিবডি পরীক্ষা শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
এএইচ/এমবি