ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

ট্রাম্প-বাইডেনের চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণ হবে সুপ্রিম কোর্টে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২০ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলের দিকে এখন সারা বিশ্বের নজর। কিন্তু এখনও অনেক ভোট গোণা বাকি রয়েছে। এরই মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন এবং তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন।

কিন্তু এখনও বৈধভাবে দেয়া কয়েক লাখ ভোট গণনাই করা হয়নি। এমনটা যে হতে পারে, বিরোধী শিবিরের অনেকেই সেটা আশংকা করেছিলেন।

বাইডেন যখন দাবি করছেন যে তিনি জয়ের পথে রয়েছেন, তখন ট্রাম্প ভোট জালিয়াতি এবং ব্যালট চুরির অভিযোগ এনে তদ্বির শুরু করেছেন যে তিনি এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে এই নির্বাচন ‘আমেরিকান জনগণের প্রতি জালিয়াতি।’

তিনি বলেছেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাবো। আমরা চাই ভোট গ্রহণ যেন বন্ধ করা হয়।”

ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোতে বড় সংখ্যক ভোট এখনো গণনা করা বাকি, যা নির্বাচনের ফলকে যে কোনো দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে। জালিয়াতির অভিযোগ তুললেও ট্রাম্প কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারেনি। আর পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে ভোট গণনার ক্ষেত্রে জালিয়াতি খুবই বিরল।

ট্রাম্প বারবার এই অভিযোগ তুলেছেন যে পোস্টাল ব্যালটের ক্ষেত্রে – করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার যেটির বিস্তৃত প্রয়োগ হয়েছে – ব্যাপক আকারে জালিয়াতি হতে পারে। এছাড়া জালিয়াতির আর যা অভিযোগ উঠেছে সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় অপ্রমাণিত গুজব।

এদিকে মিশিগান ও উইসকনসিনে জেতার পর সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন জো বাইডেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তার প্রচার শিবির থেকে ভোট গণনা নিয়ে মামলা করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া সংক্ষিপ্ত ভাষণে বাইডেন বলেছেন, ‘তিনি এখনো বিজয় ঘোষণা করেননি। তবে যখন ভোট গণণা শেষ হবে তখন তার বিশ্বাস যে তারা বিজয়ী হবেন।’

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উত্তরাঞ্চলের ব্যাটল গ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত মিশিগান ও উইসকনসিনে জেতার পর বাইডেনের ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ২৬৪–তে পৌঁছেছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা ২১৪। মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে প্রয়োজন ২৭০টি।

এসি