আশুলিয়ায় সাত শতাধিক বণ্যপ্রাণী উদ্ধার, ৪ জনের কারাদণ্ড
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৪২ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০২০ শুক্রবার
সাভারের আশুলিয়ার ইটখোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় তিন প্রজাতির ৭১০টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় চারজনের প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে র্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত।
কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রহমান শেখ (৭৮), মো. চান মিয়া (২৫), মো. ওসমান গনি (৩২) ও রফিকুল ইসলাম (৭০)। র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এ সাজা প্রদান করেন।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব-১) যৌথভাবে এই অভিযান চালিয়েছে। অবৈধভাবে ধরা বিভিন্ন প্রজাতির ৭১০টি পাখি পরে অবমুক্ত করা হয় বলে র্যাব সূত্র জানায়। এরমধ্যে টিয়া, মুনিয়া ও ঘুঘু পাখি রয়েছে।
আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে তিন প্রজাতির ৭১০টি পাখি অবমুক্ত করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ও র্যাবের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে উদ্ধারকৃত পাখি গুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে এনে খাঁচা থেকে অবমুক্ত করা হয়।
অভিযান শেষে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন-২০১২ অনুযায়ি দেশীয় বিপন্ন প্রজাতির পাখি ক্রয়, বিক্রয়, সংরক্ষণ ও শিকার করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। একটি সংঘবদ্ধ চক্র বগুড়া ও উপকূলীয় এলাকা থেকে এসব পাখি নিয়ে এসে ব্যবসা করছে। সংঘবদ্ধ চক্রটিকে ধরতে বনবিভাগ ও র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আজ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই পাখিগুলো আমাদের প্রকৃতির একটি বড় সম্পদ। পাখিগুলোর মাধ্যমে আমাদের প্রকৃতির ফুল ফলের পরাগায়ন এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয়। সুতরাং যারা এই ধরনের অপরাধ করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে’।
সারোয়ার আলম বলেন, ‘এরআগেও আমরা বড় অপারেশন করেছি এবং বেশকিছু লোককে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এরপরও চক্রটি অবৈধভাবে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সারওয়ার আলম বলেন, বন বিভাগের পাশাপাশি র্যাবের সাইবার ইউনিট সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। যাতে এসব বন্যপ্রাণী নিয়ে অনলাইনে কেউ অবৈধ ব্যবসা না করতে পারে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
এসি