ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

মুসলমানদের জজবা থাকলে কেউ ব্যঙ্গচিত্রের সাহস পেত না: ওলামা লীগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৩২ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৩:৩৩ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০২০ শনিবার

আজ মুসলমানদের মধ্যে যদি চেতনা ও জজবা থাকত তাহলে কেউ ব্যঙ্গচিত্র বা কটূক্তি করার সাহস পেত না বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩টি ইসলামিক দল।

শনিবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এ মন্তব্য করেন ওলামা লীগের নেতারা। 

পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ আন্তর্জাতিকভাবে পালনের মাধ্যমেই ব্যঙ্গচিত্র তৈরিকারী ও কটুক্তিকারীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন নেতারা। 

এ সময় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মত সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফকেও আন্তর্জাতিকভাবে পালনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে সর্বোচ্চ উদ্যোগের দাবী জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, ঈদ শব্দ উনার শাব্দিক অর্থ খুশি। আর আ’ইয়াদ হলো ঈদ শব্দ উনার বহুবচন। যেহেতু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে খুশি প্রকাশ করাটা সকল খুশির চেয়ে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ সে কারণে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলো পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। 

তারা বলেন, আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের মতো পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ১২ই রবিউল আউওয়াল শরীফ দিবসকে আন্তর্জাতিক দিবস পালনের উদ্যোগ নিতে হবে। এই দিবসটিকে বিশ্ব ছুটির ঘোষণার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে সর্বোচ্চ সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।

বক্তারা বলেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, সুইডেনসহ যেসব রাষ্ট্র ব্যাঙ্গচিত্র প্রকাশ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশ সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ওআইসিকে সাথে নিয়ে সারা মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক ও তীব্র জনমত তৈরী করতে হবে। জাতিসংঘের উপর শক্ত চাপ প্রয়োগ করতে হবে। আন্তর্জাতিক আদালতে শক্ত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। ফ্রান্সের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। ফ্রান্সের পণ্য বয়কট করতে হবে।

তারা বলেন, ফ্রান্সকে সমর্থনকারী রাষ্ট্র ভারত এদেশের এবং সারাবিশ্বের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম-পরম আঘাত দিয়েছে। ভারতে অহরহ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অবমাননার ঘটনা হচ্ছে এবং মুসলমানদের প্রতি পৈশাচিক অত্যাচার চলছে। মুসলমানদের পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনে কুরবানী দিতে, গরুর গোশত খাওয়াতে অকল্পনীয় নিপীড়ণ করা হচ্ছে। ভারতের মুসলমান নিপীড়ণ ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য সরকারী-বেসরকারীভাবে তীব্র প্রতিবাদ ও সক্রিয় প্রতিরোধ করতে হবে। ভারতীয় পন্য বয়কট করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, ফ্রান্সের ঘটনার পক্ষে এবং সারাদেশে কটুক্তিকারী অপরাধীদের পক্ষ নিয়ে সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প ছড়াচ্ছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। আজ ৭ই নভেম্বর তারা যে কর্মসূচি নিয়েছে ও প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, প্রতারণামূলক এবং সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এবং কটুক্তিকারী ও ব্যাঙ্গচিত্রকারীদের রক্ষার দুরভিসন্ধি। মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাহসী উচ্চারণে হিন্দু মৌলবাদীদের আঁতে ঘা লেগেছে। দেশকে বাঁচাতে এদের গোপন তৎপরতার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে আরো সাহসী এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকারকে অবিলম্বে উগ্র মৌলবাদী হিন্দু সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ করতে হবে।

সমাবেশ ও মানববন্ধনে সমন্বয় করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি- বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী প্রমুখ।

এমবি//