ভিডিও দেখুন
সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা তবুও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫০ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০২০ রবিবার | আপডেট: ১২:৫১ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০২০ রবিবার
শীত মৌসুমে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কার মধ্যেই রাজধানীতে সামাজিক দূরত্ব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি একেবারেই উপেক্ষিত। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। এ অবস্থায় উদাসীনতা আর অবহেলায় বিপদ ডেকে না আনতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনা সংক্রমণের আট মাস পার করেছে বাংলাদেশ। আসছে শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আছে শঙ্কা। সেই সাথে আছে ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগবালাই।
দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে আছে সরকারি উদ্যোগও। এরই মধ্যে মাস্ক না পরলে সেবা নয়, এই নীতি নিয়েছে সরকার। মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে বার বার সতর্ক করা হলেও মানার প্রবণতা একেবারেই কম। বিশেষ করে গণপরিবহনে যেনো এই নিয়মের কোনো বালাই নেই।
সচেতনরা জানান, জরিমানার একটা নিয়ম যদি থাকে এবং আমার মনে হয় সে রকম নিয়ম আছে দেশে। সেটা প্রয়োগ হলে সবাই মাস্ক পরবে।
মাস্ক ছিলো, অথবা আছে- কিন্তু পকেটে। আবার কারো দমবন্ধ হয়ে আসে- এরকম নানা অজুহাতে বিপদই বাড়ছে।
সরকারি নির্দেশনা ‘নো মাস্ক নো সার্ভিসে’র মতো মার্কেট প্লেসেও ঝুলছে ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’। কিন্তু মানা হচ্ছে, নাকি শুধুই প্রদর্শনী?
দ্বিতীয় তরঙ্গ এবং ঝুঁকি নিয়ে শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরাও। ইউজিসি অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাক্তার এবিএম আব্দুল্লাহ বিপদ ডেকে না আনতে জনগণকে সতর্ক হতে বলছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, জনগণ কিন্তু স্বাস্থ্যবিধির কোন তোয়াক্কা করে না। স্বাস্থ্যবিধি মানে না, সবার মঙ্গে একটা ড্যামকেয়ার ভাব, সৈথিল্য ভাব, উদাসিন ভাব। যেহেতু আমরা এখনও ভ্যাকসিন শুরু করি নাই বা ভ্যাকসিন এখনও পাই নাই তাই এটা প্রতিরোধের একমাত্র রাস্তা হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি বলেও মনে করেন এই চিকিৎসক।
অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ এটা কাগজে-কলমে দেয়া হয়েছে, তা ঠিক আছে। এটা তো বাস্তবায়ন দরকার।
এএইচ/ এসএ/