ভিডিও দেখুন
পুঁজিবাজারের বড় বিষফোঁড়া নেগেটিভ ইক্যুইটি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:০৮ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০২০ সোমবার
এখনো পুঁজিবাজারের জন্য বড় বিষফোঁড়া হয়ে আছে ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি নেগেটিভ ইক্যুইটি। এজন্য বিদেশ থেকে বিশেষ তহবিল আনতে চায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। তবে পুঁজিবাজারের ঋণ সংস্কৃতি নিয়ে নতুন করে ভাবার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
পুঁজিবাজারে নগদ টাকায় লেনদেনের পাশাপাশি মার্চেন্ট ব্যাংক এবং অনেক ব্রোকারেজ হাউজ শেয়ার লেনদেনে বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন অনুপাতে ঋণ দেয়। বাজারে বড় দরপতন হলে আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো ফোর্স সেল করে নিজেদের ঋণের টাকা সুদে-আসলে বুঝে নেয়। ফলে এই ঋণ খোলাপি হওয়ার কোনো সুযোগই নেই।
কিন্তু ২০১০ সালে ধসের পর বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনের মুখে ফোর্স সেল না করার আহবান জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তারপরও ধস ঠেকানো যায়নি। এক পর্যায়ে শেয়ারের বাজার মূল্য বিনিয়োগকারীর আসল অর্থের চাইতেও নিচে নেমে যায় অর্থাৎ ইক্যুইটি নেগেটিভ হয়ে যায়। এর পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এই নেগেটিভ ইক্যুইটি থেকে বাজারকে মুক্তি দিতে সম্প্রতি নতুন তথবিল যোগানের কথা ভাবছে বিএসইসি।
তবে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঋণ করে শেয়ার কেনাবেচার সংস্কৃতি নিয়েই নতুন করে ভাবতে হবে।
ডিবিএ সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম বলেন, আপনি বাইরে থেকে আনেন আর যেখান থেকে আনেন, এটা ফরেন্ট ফান্ট হোক বা দেশি ফান্ড হোক আবার যদি বাজারকে লোন নির্ভর করি এই বাজার কোন দিন দাঁড়াবে না। এটা দাঁড়ানোর কোন সুযোগ নেই।
বিএমবিএ সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, যারা নিয়মিত ট্রেডের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা কিন্তু ৭ দিন বা ১৫ দিনের জন্য মার্জিন নিতে পারেন। হয়তো ৭ দিন বা ১৫ দিনের ইন্টারেস্টে কিন্তু সে খুব দুর্বল হয়ে যাবে না। কিন্তু যখনই দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের সাথে ঋণের সম্পৃক্ততা থাকবে তখনই রিক্সটা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বিএসইসির তহবিল ঠিক কিভাবে ব্যবহার হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আগামীতে এ ধরনের বিপত্তির পুনরাবৃত্তি ঠোকাতে মার্জিন ঋণ বিতরণ ও আদায়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বোচ্চ স্বাধীনতা চান বিশেষজ্ঞরা।
সাজেদুল ইসলাম বলেন, এই ম্যানেজমেন্টটা থাকা উচিত যিনি লোন প্রোভাইড করে তার উপরে। তার একান্ত ইচ্ছা কোনটাতে দিবেন, কোনটাতে তিনি ঝুঁকি নিতে পারবেন, কোনটায় ঝুঁকি গ্রহণ করবেন না, কতটুকু পর্যন্ত ঝুঁকি গ্রহণ করবেন।
ছায়েদুর রহমান বলেন, আসলে আমি কাকে দিব কাকে দিব না, কোন শেয়ারে দিব কোন শেয়ারে দিব না- এই সিদ্ধান্তটা কিন্তু ল্যান্ডারের উপরে থাকলে ফান্ডের নিরাপত্তাটা বজায় থাকে।
নেগেটিভ ইক্যুইটি থেকে পুঁজিবাজার মুক্ত হতে পারলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সক্ষমতা অনেক গুণ বাড়বে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এএইচ/এসএ/