ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ই-কমার্স মুভারস অ্যাওয়ার্ড পেলো ইভ্যালি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৩৬ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৪:৩৭ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০২০ সোমবার

ই-কমার্স মুভারস অ্যাওয়ার্ড পেলো দেশীয় ই-কমার্স ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি ডটকম ডটবিডি। ফুড ডেলিভারি সেবা ই-ফুড এর জন্য এই সম্মাননা পুরস্কার পেলো প্রতিষ্ঠানটি। রোববার (৮ নভেম্বর) রাতে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইক্যাব-এর ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১০০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এবং ১২ জন ব্যক্তিকে ই-কমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। 

কোভিড-১৯ তথা করোনা মহামারীর সময়ে ই-কমার্স এর মাধ্যমে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এই সম্মাননা দেওয়া হয়। রাজধানীর পূর্বাচলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এসময় ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিন-এর হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

অনুষ্ঠানে নিজের অনুভূতি জানিয়ে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন- আজকের এই ইভ্যালির পেছনে আমার অনুপ্রেরণা হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নিজ উদ্যোগে পদ্মাসেতুর বাস্তবায়ন আমাকে অনুপ্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছে। 

তিনি বলেন, ইভ্যালি এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই চারটি প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। এর মধ্যে ইভ্যালির ৪০ লক্ষ নিবন্ধিত গ্রহক রয়েছে এবং ২৫ হাজার বিক্রেতা রয়েছে।

ই-ফুড নিয়ে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ই-ফুড দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাদ্য সরবরাহ পরিসেবা প্রতিষ্ঠান। যেখানে প্রায় এক হাজার ৫০০ নিবন্ধিত রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এসব রেস্টুরেন্ট থেকে প্রতিদিন প্রায় সাত হাজার ফুড ডেলিভারি দিয়ে থাকে ইফুড। অন্যদিকে ই-বাজারেও গ্রাহকেরা নিজেরাই নিজেদের পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন। আর ই-খাতায় ব্যবসায়ীগণ তাদের দৈনন্দিন হিসাব রাখতে পারেন।

ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠান একসময় বাংলাদেশের আলিবাবা, আমাজন হবে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সংকটের সময়ে প্রকৃত নেতৃত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় যেমন তরুণরা পরিবারের মায়া ত্যাগ করে দেশ ও জাতীর স্বার্থে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তেমনি করোনাকালেও তরুণরা, ই-কমার্স উদ্যোক্তারা নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে মানবিক দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য দেশিয় উদ্যোক্তারাই তৈরি হবে। মাত্র দু'বছরের ব্যবধানে নগদ, ইভ্যালি, মিনা বাজার, স্বপ্ন ইত্যাদি যেভাবে এগিয়ে গিয়েছে, আগামী দিনে তারাই অ্যামাজন, আলিবাবার মতো জায়ান্ট এ পরিণত হবে। করোনার শুরু থেকেই আমরা সকল ই-কমার্স কার্যক্রমকে জরুরী সেবার আওতায় নিয়ে এসে তাদের কার্যক্রম চলমান রাখার সুযোগ করে দিয়েছি এবং এফ-কমার্স ও ই-কমার্স মিলিয়ে এক লক্ষ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছি।

অনুষ্ঠানে ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন। 

ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)-এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ই-ক্যাবের ১৩০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এনএস/