সগিরা মোর্শেদ হত্যায় ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৬ নভেম্বর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:২১ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০২০ সোমবার
সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় তার ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধ অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। ৩০ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে এ হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয় বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।
সোমবার মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামিপক্ষের এক আইনজীবী অসুস্থ থাকায় সময়ের আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এদিন ধার্য করেন।
এর আগে ৯ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পিবিআইয়ের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ১৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সগিরার ভাসুরসহ চারজনকে আসামি করে এক হাজার ৩০৯ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।
আসামিরা হলেন, সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং ভাড়াটে খুনি মারুফ রেজা।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সগিরা মোর্শেদ সালাম ১৯৮৯ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে মেয়েকে আনতে যান। বিকেল ৫টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী রোডে মোটর সাইকেলে আসা ছিনতাইকারীরা তার হাতে থাকা স্বর্ণের চুড়ি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। নিজেকে বাঁচাতে দৌড় দিলে তার ওপর গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় ওইদিনই রমনা থানায় মামলা করেন তার স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী। পরে মিন্টু ওরফে মন্টু ওরফে মরণের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক। সাত জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণকালে মারুফ রেজা নামে এক ব্যক্তির নাম আসায় অধিকতর তদন্তের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
ওই বছরের ২৩ মে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালত। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা (১০৪২/১৯৯১) করেন মারুফ রেজা। যিনি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকটাত্মীয়। ১৯৯১ সালের ২ জুলাই ওই তদন্তের আদেশ ও বিচারকাজ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তদন্তের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। ১৯৯২ সালের ২৭ আগস্ট ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার বিচারকাজ স্থগিত থাকবে মর্মে আরেকটি আদেশ দেয়া হয়।
২০১৯ সালের ২৬ জুন এ মামলার ওপর ২৮ বছর ধরে থাকা স্থগিতাদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলা ৬০ দিনের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন।
একই বছরের ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তদন্তের জন্য পিবিআইকে আরও ৬০ দিনের সময় দেন। এর পর পিবিআই বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে। চারজনই হত্যার দায় স্বীকার করে বিচারিক আদালতে জবানবন্দি দেন।
এসি