প্রকল্পের টাকা নয়-ছয় হতে দেয়া হবে না: মেয়র তাপস
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৪০ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০২০ সোমবার
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, প্রকল্পের টাকা উইপোকা খাবে বা নয়-ছয় হবে এটা চাই না। প্রকল্পের অর্থ যেন শতভাগ নির্ধারিত প্রকল্পের জন্য খরচ হয় এটা নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার (৯ নভেম্বর) নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্প’ বিষয়ে নব গঠিত সিটি কর্পোরেশন পর্ষদকে অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘সরকারের অনেক প্রকল্পের টাকা সেই প্রকল্পের জন্য পরিপূর্ণভাবে খরচ হয়নি, তবু খরচ দেখানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে ক্ষোভের সাথেই বলেছিলেন, প্রকল্পের অর্থ উইপোকা খায়। আমি চাই না কোন প্রকল্পের টাকা কোন উইপোকা খেয়ে যাক, এটা হতে দেবো না। প্রতিটি প্রকল্পের টাকা নির্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যয় দেখতে চাই, এক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের পূর্ণ সহযোগিতা চাই।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন হলেও শহরের দরিদ্র অনেকেই সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে চাই। আগামীতে নগরে বসবাসরত দরিদ্রের হার ১০ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনতে চাই।’
জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ একটি মর্যাদাশীল দেশে পরিণত হয়েছে। রূপকল্প-২০২১ এর আলোকে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, দেশে এক সময় দরিদ্র সীমার নীচে ৭০ শতাংশ মানুষ বসবাস করত, আজ তা ২০ শতাংশে এসেছে। একই সাথে হত দরিদ্র জনগোষ্ঠী ১২ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে। বার্ষিক আয় ২ হাজার ডলার অতিক্রম হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে এখন পদ্মাসেতু নির্মাণ করছি। পদ্মাসেতু সম্পন্ন হলে আমাদের প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ঢাকা কেন্দ্রিক চাপও কমে যাবে।
সিটি কর্পোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের সভাপতিত্বে এলআইইউপিসি প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল মান্নান, ইউএনডিপির জাতীয় প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইয়োগেশ প্রাধানাং এবং ইউকেএইড ঢাকা অফিসের সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট এডভাইজার আনোয়ারুল হক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল শরীফ আহমেদসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এসি