শ্রমিকদের মালয়েশিয়া ফিরতে অনিশ্চয়তা (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:১৪ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার
মালয়েশিয়া দীর্ঘদিন শ্রমিক নেওয়া বন্ধ রেখেছে। এবার যুক্ত হয়েছে মহামারীর আগে দেশে আসা শ্রমিকদের ফিরতে না পারার অনিশ্চয়তা। কিছুতেই আকর্ষণীয় এই শ্রমবাজারটি উন্মুক্ত করার পথ মসৃণ হচ্ছে না। এ অবস্থায় কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারের পাশাপাশি পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশী শ্রমিক নেয়া বন্ধ রেখেছে মালয়েশিয়া। সময় গড়িয়েছে অনেকটাই। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার আলাপ-আলোচনা হলেও সমাধান হয়নি। শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার কৌশল খুঁজতে এখানো দ্বি-পাক্ষিক আলাপ-আলোচনা চলছে।
বিদেশী শ্রমিকের বিষয়ে এখনও নিষেধাজ্ঞা আছে দেশটিতে। মহামারীর আগে ছুটিতে দেশে আসা প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক এখন ফিরতে পারছে না।
এর মধ্যে ২২ হাজার শ্রমিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। বাকীদেরও শেষ হওয়ার পথে। নিষেধাজ্ঞা চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারপর কি হবে? তা এখনও অনিশ্চিত।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেন, এগুলোর ব্যাপারে একটা স্বচ্ছ ধারণা থাকা উচিত। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে যদি এগিয়ে থাকে বা নাও এগিয়ে থাকে এগুলো মডারারদেরকে জানানোর বিষয়ে ঘাটতি রয়েছে। যার ফলে রাস্তাঘাটে শ্রমিকদের আন্দোলন করতে দেখছি।
বায়রা মহাসচিব শামিম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের ব্যাপারে মালয়েশিয়ান সরকার রি-হায়ারিংয়ের জন্য একটি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এটি শ্রমিকদের জন্য সুখবর, এটি না হলে কর্মীদের দেশে ফেরত আসতে হতো। যেহেতু তারা ছাত্র ও পেশাদারীদেরকে সুযোগ দিয়েছে সেক্ষেত্রে যারা ছুটিতে এসে আটকা পড়েছে তাদের ব্যাপারে আমার মনে হয় মালয়েশিয়ান প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা দরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ধর্ণা দিচ্ছেন মালয়েশিয়া ফেরত শ্রমিকেরা। কিন্তু সমাধানের পথ কোথায়?
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, গত দুই বছর ধরে আমাদের অনেকবার আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বলা হয়েছিল শ্রমবাজার খুলে যাবে, তারপরও কিন্তু বাজার খুলেনি। আমি মনে করছি না যে, খুব সহসাই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এরকম আশা করার কোন সুযোগ নেই।
অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে অনেক টানাপড়েন চলছে। এখানে সিন্ডিকেশন নিয়ে একটা বিতর্ক ছিল, আমাদের এই প্রান্তেও ছিল ওই প্রান্তেও ছিল। এটা বাজারকে কুক্ষিগত করার একটা অপপ্রয়াশ, স্বার্থানাশী মহলের একটা প্রচেষ্টা ছিল।
আশার কথা হলো, নিয়োগদাতার অনুরোধের প্রেক্ষিতে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও প্রবেশাধিকারের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে মালয়েশিয়া। প্রস্তাব আছে অনলাইনে নিবন্ধন, নিয়োগসহ নির্ভরযোগ্য এজেন্ট নির্ধারণের। এক্ষেত্রে অর্থের লেনদেন হবে ব্যাংকিং চ্যানেলে।
এএইচ/ এসএ/