ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধীর গর্ভপাত, আটক ১
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৩:০২ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় অবিবাহিত এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে অবৈধ গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই যুবতীর মা বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে এ ঘটরায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (১০নভেম্বর) সকালে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যার দিকে মামলার ১নং আসামি জসিম উদ্দীনের স্ত্রী শারমিন খাতুন (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। শারমিন ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মানসিক প্রতিবন্ধী এক যুবতী (১৯)-কে ফুসলিয়ে উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের সিদ্দিক খানের ছেলে জসিম উদ্দীন (২৭) ও মোস্তাজুল ইসলামের ছেলে ইমন (১৯) বিভিন্ন সময় একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে যুবতী গর্ভবতী হয়ে পড়লে আসামিরা কৌশলে ওই যুবতীকে কলারোয়ার সততা ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করায়। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানতে পেরে প্রতিবন্ধী যুবতীর মা সোমবার (৯ নভেম্বর) কলারোয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিরা নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধী যুবতীর আত্মীয়।
সোমবার সকালে ওই যুবতী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কলারোয়া হাসপাতাল ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
নির্যাতিতার মা জানান, ‘আসামি জসিম উদ্দীন তাদের পুরাতন ঘর ভেঙে নতুন ঘর তৈরির সময়ে আমাদের ঘরে দীর্ঘ ৯ মাস অবস্থান করে। অপর আসামি ইমনের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক থাকায় সেও আমাদের বাড়িতে যাতায়াত করত। পরবর্তীতে আমার মানসিক প্রতিবন্ধী কন্যার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে ঘটনা জানায়। গর্ভবতীর বিষয়টি জসিম ও ইমনকে জানালে তারা দু’জন সত্যতা স্বীকার করলেও ঘটনাটি কাউকে না জানানো জন্য ভয়ভীতি দেখায়। পরবর্তীতে তারা আমার অগোচরে মেয়েকে কলারোয়ায় নিয়ে গর্ভপাত ঘটায়।’
এআই/এসএ/