অর্থ পাচার মামলায় কারাগারে থাকা সম্রাট গ্রেফতার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫২ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:৫৮ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার
ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িত ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মানি লন্ডারিং মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আজ তার উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিচারক শুনানি শেষে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করেন সিআইডি।
কাকরাইলের বাসায় অবস্থান করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত ১৯৫ কোটি টাকা সহযোগি এনামুল হক আরমানের (৫৬) সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করায় মামলাটি করা হয়েছে।
ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে এসব অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। তার উপার্জিত অর্থের মধ্যে ১৯৫ কোটি টাকা তার সহযোগি আরমানের সহায়তায় তিনি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
সম্রাটের বিদেশ ভ্রমণের পর্যালোচনামূলক তথ্যও এ মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাইতে দু’বার এবং হংকংয়ে একবার ভ্রমন করেছেন। আর তার অপরাধকর্মের সহযোগি আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ২৫ বার যাতায়াত করেছেন।
ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরআগে সম্রাটের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
গত বছরের ৫ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে আত্মগোপনে থাকা সম্রাট ও তার সহযোগি আরমানকেও আটক করা হয়। ওইদিন দুপুরে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল তাকে নিয়ে তার কার্যালয়ে তালা ভেঙে কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযান শুরু করে।
সম্রাটের কাকরাইলের কার্যালয় থেকে একটি পিন্তল, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বিদেশি মদ ও বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ওই সময় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসি