ঢাকা, রবিবার   ১২ জানুয়ারি ২০২৫,   পৌষ ২৮ ১৪৩১

করোনায় মৃত্যু ঝুঁকিতে নবজাতকরাও (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪০ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২০ বুধবার | আপডেট: ১২:৪৩ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২০ বুধবার

করোনা সংক্রমণে মারা যাচ্ছে নবজাতকরাও। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৮৪টি নবজাতকের নমুনা পরীক্ষায় ২৬ জনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ দিন বয়সের শিশুও ছিলো। আক্রান্তদের বেশিরভাগই উপসর্গহীন। এতে মারা গেছে ১৪ জন। তবে তাদের অপুষ্টিসহ অন্যান্য জটিলতা ছিলো। নবজাতকদের সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে জন্মের সময় স্বাস্থ্যকর পরিবেশ, পুষ্টি নিশ্চিত করা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যত্ন নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের মূল ভবনের বাইরে ২০ শয্যার কোভিড ইউনিট। ১৩ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত সেবা নিয়েছে শতাধিক করোনা আক্রান্ত শিশু।

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত এক শিশুর করোনা শনাক্ত হয় ১৭ এপ্রিল। এরপর যৌথ গবেষণা শুরু করে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও ঢাকা শিশু হাসপাতাল।

গবেষণায় দেখা যায়, শূন্য থেকে ২৮ দিন বয়সী ৮৪টি নবজাতকের নমুনা পরীক্ষায় ২৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মারা গেছে ১৪ শিশু। 

সিএইচআরএফ নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহা বলেন, উপসর্গটা পাই পরে, কিন্তু ভাইরাসটা আসে তার আগে। সুতরাং ওই তিন দিনের মধ্যে আমরা যে ভাইরাস পেয়েছি, তখন কিন্তু উপসর্গ থাকবে না। তবে উপসর্গটা আস্তে আস্তে দেখা দিবে।

নবজাতকদের সুরক্ষায় নিরাপদ জন্মস্থান ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেড়ে উঠা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।

ড. সমীর কুমার সাহা আরও বলেন, যেখানে ডেলিভারী হবে সেটা ক্লিনিক থাকবে। যারা সাহায্য করছেন তাদেরকে মাস্ক পরেই এই কাজটা করতে হবে। যাতে করে আমরা অন্য কারো থেকে আক্রান্ত না হই। একটা শিশুকে মাস্ক পরানোটা কিন্তু একটু কঠিন, সে তো বুঝবে না। সুতরাং আমাদেরকেই সব পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

সংক্রমণ শুরুর পর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত শিশু হাসপাতালের বহিঃবিভাগের ৫৩৩ শিশুর করোনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয় ১১০ জন। ভর্তি ২ হাজার ৩৮২ শিশুর মধ্যে আক্রান্ত হয় ৩০৭ জন। এর মধ্যে শূন্য থেকে ১ মাস বয়সী রয়েছে ৪৩ জন। সবচেয়ে বেশি রোগী ঢাকার, ১২২ জন। জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য সার্জারি বিভাগে ভর্তি ৬১ শিশুর করোনা শনাক্ত হয়, যাদের কোন উপসর্গ ছিলো না।  

ঢাকা শিশু হাসপাতালের রোগতত্ত্ববিদ কিংকর ঘোষ বলেন, অনেক বাচ্চা ইনভায়রনমেন্টেও আছে বা হসপিটালেও আছে যারা উপসর্গবিহীন। এই বাচ্চাগুলোকে সনাক্ত করে আইসোলেটেড করা জরুরি। অপুষ্টিকর বাচ্চারাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। 

আরও গবেষণার জন্য আক্রান্ত ২৬ নবজাতকের করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে।

এএইচ/এসএ/