ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বহুমাত্রিক সংকটে অভিবাসন খাত (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:১২ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২০ বুধবার

বহুমাত্রিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে অভিবাসন খাত- এই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, এমনিতেই মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। এরপর আবার করোনা মহামারি নতুন সংকটে ফেলে দেয়। এমন অবস্থায় বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এই ধাক্কায় পরিস্থিতি আরো বদল হওয়ারও শংকা দেখছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সম্ভাব্য সংকট বিবেচনায় সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্য। বিএমইটির তথ্য অনুসারে, প্রবাসী শ্রমিকদের ৭৬.৯৩ ভাগ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, কাতার, বাহারাইনে কাজ করছে। 

মহামারীর দুঃসময়ে দেশে ফিরে নানান জাটিলতার মুখোমুখি প্রবাসী শ্রমিকরা। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, ২.০৯ লাখ প্রবাসী শ্রমিক করোনাকালে দেশে ফিরেছে। এর মধ্যে নারী শ্রমিক ২২ হাজার ৯ শ’ ৩৬ জন।

এ অবস্থায় গত সেপ্টেম্বরে নতুন সংকটের মুখোমুখি হতে হয় শ্রমিকদের। বিমান চলাচল বন্ধ আর স্বয়ংক্রিয় ভিসা নবায়ন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের।

নামতে হয়েছে রাজপথেও। অল্প সময়ে করোনা টেস্ট ও সনদ নেয়া, উচ্চ ফি, ভিসা পেতে নির্দিষ্ট এজেন্সি ঠিক করে দেয়াসহ নানা হয়রানিও ছিলো তাদের সঙ্গী। যারা দেশে এসছিলো, তাদের ফিরে যাবার কৌশল আগে কেন ঠিক করা হলো না- এ প্রশ্ন অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের।

রামরু নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেন, যারা নতুন করে ভিসা পেয়েছেন কিন্তু যেতে পারছেন এবং যারা এখানে এসে আটকে পড়েছেন, তারা নানান রকম ঝামেলার মধ্যে পড়েছেন। এর সবগুলোই নিরসন করা না গেলেও হয়তো ভোগান্তিটা কিছু হলেও কমানো যেতো। তারা আবার যে ওই দেশে চলে যাবেন, তার জন্য যে আগাম প্রস্তুতির দরকার ছিল তা নেওয়া হয়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাবেই অভিবাসন সংকট ঘণীভূত হচ্ছে।

বায়রা মহাসচিব শামিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, ওখানে যারা আছেন তাদের পুনরায় কাজে যোগদানের ব্যবস্থা করা এবং যারা ছুটিতে এসে আটক পড়েছে তাদেরকে কিভাবে প্রেরণ করা যায় সেই ব্যাপারে অবশ্যই কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত থাকা উচিত।

ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান বন্ধ, যারা আছে তারাও সংকটে আছে আবার ফেরত আসতে হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে আমাদের অভিবাসন খাতটা সংকটে পড়েছে। আমি মনে করছি না যে, আগামী জুলাইয়ের আগে বৈদেশিক কর্মসংস্থান পরিস্থিতিটা স্বাভাবিক হবে।

করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জে অনেক প্রবাসী কর্মস্থলে ফিরতে না পারার শংকার মধ্যে নতুন শ্রম বাজার খোঁজার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

শরিফুল হাসান আরও বলেন, ইউরোপের অনেক দেশ আমাদের এগ্রিকালচার শ্রমিক চাইছে এবং রাশিয়া ও এর আশপাশের কিছু দেশ, জাপান এক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় জায়গা হতে পারে। 

কর্মী পাঠাতে চুক্তি আছে ১শ’ ৭৩টি দেশের সাথে। এর মধ্যে ১শ’ ৬০টি দেশে কাজ করছে বাংলাদেশী শ্রমিকরা।

এএইচ/এসএ/