সীতাকুণ্ডে যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৫৪ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২০ বুধবার
সীতাকুণ্ড উপজেলা সদরে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ঘিরে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এ কারণে বুধবার (১১ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত কোন পক্ষ সমাবেশ করতে পারেনি। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশংঙ্কায় সীতাকুন্ড প্রশাসন সকালে ১৪৪ ধারা জারি করে।
পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় যুবলীগের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (১১ নভেম্বর) সীতাকুণ্ড উপজেলা সদরে, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এস এম আল মামুন ও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া অনুসারীরা একই সময় একই স্থানে দুটি আলাদা সমাবেশের ঘোষণা দিলে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। ফলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশংঙ্কায় প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, উপজেলা যুবলীগের দুই গ্রুপ একই স্থানে একই সময়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ আহ্বান করে। এতে পৌরসভার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির শংকা রয়েছে। সে কারণে যে কোনও ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দুপুর ১টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সীতাকুণ্ড পৌরসভা ও আশপাশের এলাকাজুড়ে এই নিষেধজ্ঞা বলবৎ থাকবে।’
জানা যায়, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শাহজাহান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম জসিম অপর গ্রুপের মোহাম্মদ সেলিম একই সময়ে একই স্থানে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ আয়োজন করেন। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাকের ভূঁইয়াকে দুই কর্মসূচিতেই প্রধান অতিথি করা হয়। ফলে মঙ্গলবার রাত থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি শোডাউনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। তাই বাধ্য হয়ে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক বলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবলীগের যুব সমাবেশকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখতে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারী করে। এ জন্য উপজেলায় আইনশৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে উপজেলা যুবলীগ। প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা পৌরসদরে গিয়ে ব্যাপক সোডাউনের মাধ্যমে যুব সমাবেশ করার কথা থাকলেও হঠাৎ করে প্রসাশনের নিষেধাজ্ঞার ফলে নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা নেমে আসে। যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পৌরসদর এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কেআই//