ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

আজ ঝালকাঠির ২ বিচারক হত্যা দিবস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৪ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২০ শনিবার | আপডেট: ১২:৩৭ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২০ শনিবার

আজ ভয়াবহ ১৪ নভেম্বর। ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যার ১৪ বছর। ২০০৫ সালের এ দিনে জেএমবির বোমা হামলায় ঝালকাঠির দুই বিচারক সোহেল আহম্মেদ এবং জগন্নাথ পাড়ে নিহত হন। সেদিনের সেই স্মৃতি মনে করে আজও জেলাবাসী আঁতকে ওঠেন।

ভয়াবহ সেই দিনটি ছিল রোববার, সকাল ৯টা বাজতে তখনও ৫ মিনিট বাকি। জেলা শহরের পূর্বচাঁদকাঠি এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে আদালতে যাওয়ার জন্য জজশীপের গাড়িতে অপেক্ষা করছিলেন ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতের দুই সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাড়ে এবং সোহেল আহমেদ অপর আরেক বিচারক এম আউয়ালের জন্য। আর গাড়ির ড্রাইভার সুলতান যান বিচারক আউয়ালকে গাড়িতে তোলার জন্য ডাকতে।

আর সে সময় জেএমবির সুইসাইডাল ইফতেখার হাসান আল-মামুন গাড়িতে অপেক্ষমাণ দুই বিচারককে একটি চিরকুট পড়তে দেন। তারা চিরকুট পড়তে থাকলে জেএমবির মামুন বিচারকদের গাড়িতে শক্তিশালি বোমা নিক্ষেপ করে।

মুহূর্তেই বিকট শব্দে কম্পিত হয়ে গাড়িটি চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে যায়। আর দুই বিচারকের শরীরে বিভিন্ন অংশ দেহ থেকে উড়ে যায়। ঘটনা স্থলেই মারা যান বিচারক জগন্নাথ পাড়ে। আর বরিশাল নেয়ার পথে মারা যান বিচারক সোহেল আহমেদ।

বোমা নিক্ষেপকালে আহত হয়ে ধরা পড়ে হামলাকারী জেএমবির সুইসাইড স্কোয়ার্ডের সদস্য ইফতেখার হাসান আল মামুন।

পরে এ ঘটনায় মামলা হলে ঝালকাঠির ততকালীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমেদ শীর্ষ জঙ্গিনেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাইসহ ৭ জঙ্গিকে ২০০৬ সালের ২৯ মে  ফাঁসির আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে সে রায় বহালের পর দেশের বিভিন্ন জেলখানায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ৬ শীর্ষ জঙ্গির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। ওই সাত জনের মধ্যে পালিয়ে থাকা জঙ্গি সদস্য আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয় ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর। আজ শোক-শ্রদ্ধা আর ভালবাসার নানা কর্মসূচিতে ঝালকাঠিতে বিচারক হত্যা দিবস পালিত হচ্ছে।

আরকে//