ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

সিগারেটের উপর কর বৃদ্ধিতে কমবে ধুমপায়ীর সংখ্যা

প্রকাশিত : ০১:৫৯ পিএম, ১৭ মে ২০১৭ বুধবার

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বিশ্বব্যাপী সিগারেটের উপর ৫০ শতাংশ হারে কর বৃদ্ধি করা হলে ধুমপায়ীর সংখ্যা কমবে ৪ কোটি ৯০ লাখ। বছরে জীবন বাঁচবে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের। আর বাংলাদেশে তামাকজাত পণ্যের ৪ স্তরের কর কাঠামো বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে সুবিন্যাস্ত করার দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী জোট।

দেশের তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো আগামী অর্থবছরে বিভিন্ন তামাকপণ্যের উপর কর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।

সিগারেটে কর সুপারিশ
প্রতি ১০ শলাকার নিম্নস্তরের সিগারেটের প্যাকেটে ২৫.৯৫ শতাংশ
প্রতি ১০ শলাকার উচ্চস্তরের সিগারেটের প্যাকেটে ৪৯.৬০ শতাংশ
ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটে ৮২ শতাংশ

এর বাইরে তামাকপণ্যের খুচরামূল্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বহাল রাখারও দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো।
নিম্নস্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের প্যাকেটের খুচরা মূল্য ৪০ টাকা
উচ্চস্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের প্যাকেটের খুচরা মূল্য ৮০ টাকা
প্রিমিয়াম ১০ শলাকার সিগারেটের প্যাকেটের খুচরা মূল্য ১২০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
এতে সরকার বাড়তি রাজস্ব পাবে ৫ হাজার ২শ’ কোটি টাকা।

বিড়িতে কর সুপারিশ:
২৫ শলাকার বিড়ির প্যাকেটের উপর এক্সাইজ কর আরোপ করে ১০.৬১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২.৩০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের ২০ গ্রামের উপর ১৬ টাকা কর আরোপের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
এতে অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে সরকার।
বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার তথ্য মতে, তামাক খাত থেকে সরকার যে পরিমান রাজস্ব পায়, তামাক ব্যবহারের কারণে অসুস্থদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্যখাতে তার দ্বিগুণের বেশি ব্যয় হয়। কর কাঠামো সুবিন্যাস্ত হলে তামাকের ব্যবহার কমবে বলে মনে করেন এই গবেষক।

সম্প্রতি বাজেট নিয়ে এক অনুষ্ঠানে তামাকের ব্যবহার কমাতে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেন অর্থমন্ত্রী।

তামাক পণ্যে কর বৃদ্ধি করা হলে, যেমন এর ব্যবহার কমবে, তেমনি বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়।

https://youtu.be/1CxKkxl-j0Q