মধ্যবিত্তদের জন্য তৈরি ফ্ল্যাটের দাম আকাশ ছোঁয়া (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৭ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার
নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের তৈরি করা ফ্ল্যাটের দাম আকাশছোঁয়া। ৬০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা দামের ফ্ল্যাট কেনার ক্ষমতা নেই নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের। মিরপুরে দুটি পাইলট প্রকল্প ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও বাকি অনেক কাজ।
নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য রাজউকের উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পে প্রথমে প্রতি বর্গফুটের দাম ধরা হয় তিন হাজার ৮শ’ টাকা। সব মিলিয়ে ১ হাজার ৬শ’ ৫৪ বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাটের দাম পড়ে ৭০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় ধাপে একই ফ্ল্যাটের দাম ধরা হয় প্রতি বর্গফুট ৪ হাজার ৮০০ টাকা। দাম পড়ে প্রায় ৯০ লাখ টাকা। এছাড়া ধানমন্ডি ও গুলশানে প্রতি স্কয়ার ফিটের দাম ধরা হয় যথাক্রমে ৯ ও ১২ হাজার টাকা।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ মিরপুর-৯ নম্বরে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য ১ হাজার ৪০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করছে। সাড়ে চার হাজার টাকা প্রতি স্কয়ার ফিট। সাথে আছে ইউটিলিটি, পার্কিং ও রেজিস্ট্রিশন খরচ। দাম পড়বে প্রায় ৬০ লাখ টাকার বেশি।
১৪ তলার ১০টি ভবনের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো ২০১৮ সালে। কিন্তু এখনও কাজের অনেক বাকী।
কয়েকটি ভবনের ঠিকাদারকে বাদ দেয়া হয়েছে। কাজের মান ও অগ্রগতি না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।
নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীন মিয়া বরাবরের মতো এখানেও কাজ শুরু করতে আমাদের বিলম্ব হয়েছে। কারণ এই জায়গাটিতে অবৈধ বস্তি ছিল এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেসিন প্ল্যান ছিল। ওই সকল স্থাপনা অপসারণ করে এখানে কাজ শুরু করতে আমাদের বিলম্ব হয়েছে। দুটি ভবন ঠিক সময় সম্পন্ন হবে না, এই ভবন দুটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনেক দিন কাজ না করায় তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছি।
প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করে আগামী বছরের শুরুতে কিছু ফ্ল্যাট হস্তান্তর করতে চায় কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা সদস্য বিজয় কুমার মন্ডল বলেন, এখানে শুরুতেই এক বছর সময় নিয়ে ফেলছে। একবছর ধরে ট্রাই করে, তাদেরকে সাহায্য করে কাজটি উঠিয়ে নেবার চেষ্টা করলাম কিন্তু ওরা পারলোনা। আমরা এদেরকে টার্গেট দিয়েছি যে করে হোক ডিসেম্বরে শেষ করতেই হবে।
পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে মধ্যবিত্তদের জন্য নতুন প্রকল্প হাতে নেবে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।
তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়া এবং অতিরিক্ত দামের কারণে মধ্যবিত্তদের সুফল পাওয়া নিয়ে আছে সংশয়।
এএইচ/এসএ/