ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

পদ্মাসেতুর ৩৮তম স্প্যান বসছে আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৪ এএম, ২১ নভেম্বর ২০২০ শনিবার

আবহাওয়া অনুকূল ও কারিগর জটিলতা দেখা না দিলে পদ্মাসেতুর ৩৮তম স্প্যান বসানো হবে আজ। শনিবার মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১ ও ২ নম্বর পিলারের ওপর ‘ওয়ান-এ’ স্প্যানটি বসানোর কথা রয়েছে। এতে করে সেতুর ৫ হাজার ৭ মিটার দৃশ্যমান হবে।
  
স্প্যানটি সফলভাবে বসানোর জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দেশি-বিদেশী প্রকৌশলীরা। স্প্যানটি বসানো হলে বাকি থাকবে আর ২টি। ৩৭তম স্প্যান বসানোর এক সপ্তাহের মাথায় বসতে যাচ্ছে এটি। তবে প্রাকৃতিক কারণ ও কারিগরি জটিলতা বাধা হয়ে দাঁড়ালে আগামীকাল রোববার  (২২ নভেম্বর) পর্যন্ত মোট দুইদিন সময় লাগতে পারে।  

এর আগে গত ১২ নভেম্বর বসানো হয় পদ্মাসেতুর ৩৭তম স্প্যান (২-সি)। এটি মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ৯ ও ১০ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয়।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, ‘স্প্যানটি গত ১৬ নভেম্বর বসানোর পূর্ব সিডিউল ছিল। তবে নির্ধারিত দুটি পিলার একটি ডাঙায় (স্থলে) ও অপরটি নদীতে থাকায় ড্রেজিং করে পিয়ার দুটির মাঝের স্থানটি স্প্যানবাহী ভাসমান ক্রেনের চলাচলের উপযোগী করতে হয়। এরপর কারিগরি অন্যান্য খুঁটিনাটি যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করতে আরও কয়েকদিন সময় লেগে যায়। তবে এখন স্প্যানটি বাসানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’

তিনি আরও জানান, শনিবার সকাল ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেন ‘তিয়াইন-ই’ ১৫০মিটার দৈর্ঘ্যের ৩৮তম স্প্যানটি নিয়ে নির্ধারিত পিলারের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। কারিগরি সমস্যা দেখা না দিলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এদিনই স্প্যানটি বসিয়ে দেওয়া হবে। 

৩৮তম স্প্যানটি বসানো হলে চলতি মাসে মোট বাকি স্প্যানগুলো বসানো সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পদ্মাসেতু নির্মাণে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব। এছাড়া দুই হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের বসানো স্প্যানগুলোতে এসব স্ল্যাব বসানোর কাজ চলমান আছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) মূল সেতুর কাজ ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

এআই/