যশোরে দুই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই ১০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:৪২ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২০ রবিবার
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংকট চলছে যশোরের শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কোনরকম মেডিকেল অফিসার দিয়ে চিকিৎসা সারছে কর্তৃপক্ষ। এতে গ্রামীণ এলাকার রোগীরা তাদের কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর চাপ বাড়ছে যশোর আড়াইশ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। বিভিন্ন উপজেলা থেকে শত শত রোগী আসছেন জেলার এই প্রধান হাসপাতালে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শূন্য রয়েছে ৭ জন এবং ঝিকরগাছায় ৩ জন। যশোরের ৮ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদ রয়েছে ২০১টি। এর মধ্যে ৫৬ জন চিকিৎসক শূন্য।
শার্শা উপজেলার সামলাগাছি গ্রামের বাসিন্দা আজিজুর রহমান জানান, ‘তিনি পেটের সমস্যা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় মেডিকেল অফিসার তার ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। কিন্তু ওষুধ খেয়ে তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। পরে যশোর যেতে হয়েছে।’
বেনাপোলের সাহিদুল ইসলাম জানান, ‘তিনি পায়ের ক্ষত নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যান সম্প্রতি। কিন্তু সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় তাকে যশোর আড়াইশ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে যেতে হয়েছে। এতে তার চিকিৎসা ব্যয়ের পাশাপাশি পরিবহন ব্যয় হয়েছে।’
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইনচার্জ ডাক্তার ইউসুফ আলী জানান, ‘আমাদের হাসপাতালে ৭ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। ইতিমধ্যে পদ পূরণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে আমাদের যে জনবল আছে তাই দিয়ে যথাযথ চিকিৎসা দিচ্ছি। যে সমস্ত রোগীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাদেরই যশোর রেফার করা হয়ে থাকে।’
এ ব্যাপারে যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহিন জানান, ‘শার্শা, ঝিকরগাছা উপজেলাসহ যশোরের ৮ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদ রয়েছে ২০১টি। এর মধ্যে ৫৬ জন চিকিৎসক শূন্য। আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ পূরণে একাধিকবার মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। কিন্তু জনবল দেয়া হয়নি। এতে উপজেলাগুলোতে চিকিৎসা কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে চাপ পড়ছে যশোর আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলিপ কুমার রায় জানান, ‘আমাদের এখানে প্রতিদিন গড়ে ৯শ’ রোগী বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। একই সাথে ভর্তি থাকছেন ৩৮০ জন রোগী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকলে এত বিপুল চাপ আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে থাকত না। গত ১২ নভেম্বরও আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিষয়টি অবহিত করেছি।’
এআই//আরকে