যমুনায় ফের ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, বেড়েছে ভাঙ্গন
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:১৮ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২০ বুধবার
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আগুনে ড্রেজার পুড়িয়ে দিয়েও রোধ করা যাচ্ছে না যমুনার বালু উত্তোলন। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ঘাটাবাড়ি এলাকায় আবারও বালু উত্তোরনে নেমেছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।
বছর খানেক পর সেখানে স্থানীয় একটি চক্র নতুন করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে তা আশেপাশে বিক্রি করছে। এদিকে হঠাৎ করে নদী থেকে বালু উত্তোলন শুরু করায় নদী তীরবর্তী এলাকাজুড়ে ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে স্থানীয়দের মাঝে বেড়েছে ক্ষোভ ও হতাশা।
বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয়রা বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসী চক্রটি হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবার এলাকাবাসী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
জানা যায়, শাহজাদপুর উপজেলার পুর্বাঞ্চল খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়ন যমুনার ভাঙ্গনে এমনিতেই বিপর্যস্ত। গত ৫ বছরে অন্তত কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। উপরোন্ত অবৈধভাবে ড্রেজার লাগিয়ে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী চক্র বালু উত্তোলন করে বিক্রি করায় ভাঙ্গনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এজন্য এই অঞ্চলের মানুষের চরম ক্ষোভ ও অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের ২৯ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে অবৈধ ড্রেজারটি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। বর্তমানে আবারও সেই বাঘাবাড়ির মজনু মিয়া, কাজিপুরের একটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পরিচয় দেয়া শ্রীফলতলার রাজু ও রুপসী গ্রামের কয়েকজন মিলে গত সপ্তাহ খানেক ধরে এই ড্রেজার দিয়ে বালু কাটা শুরু করেছে।
এতে করে এলাকাজুড়ে নদী তীরে ভাঙ্গন আরও তীব্রতর হচ্ছে। এ ব্যাপারে জরুরী পদক্ষেপ চেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে রুপসী গ্রামের রুবেল ভুঁইয়া শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন।
তিনি জানান, ‘অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে এলাকাবাসীর সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কারণে আমাকে বালু দস্যুরা হামলা করেছে। আমাকে মারার জন্যও হুমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে বালু দস্যুদের এখন মুখোমুখী অবস্থা। তাই আমি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আশা করছি অতীতের মতো বালু দস্যুদের এই অপতৎপরতা বন্ধে উপজেলা প্রশাসন কার্যকরি পদক্ষেপ নেবে।’
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা জানান, ‘আমাদের উপজেলার কোথাও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেয়া হবে না। শুনেছি ঘাটাবাড়িতে ড্রেজার চালানো হচ্ছে। দ্রুতই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’
এআই/এসএ/