ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি: বাণিজ্যমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৩৫ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৩৮ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, কোভিড-১৯ দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রয়েছে। সরকারের প্রচেষ্টায় মানুষ সচেতন হচ্ছে, ফলে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সফলভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে সরকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধার সম্বলিত প্রায় ১.২২ লক্ষ কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতির জন্য এসকল পদক্ষেপ খুবই প্রয়োজন ছিল। সরকারের সময়োপযোগি সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারনে ক্ষয়-ক্ষতি কম হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ সময়ে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ এবং মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার সক্ষম হয়েছে। প্রয়োজনে টিসিবি’র মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে। ফলে কঠিন পরিস্থিতিতেও দেশে কোন পণ্যের সংকট হয়নি বা মূল্য বৃদ্ধি ঘটেনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (২৬ নভেম্ববর) ঢাকায় ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ আয়োজিত “কোভিড-১৯ মোকাবেলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া প্রণোদনা প্যাকেজ” বিষয়ে সিরিজ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। প্রথম সভার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখা এবং অর্থনীতির সামগ্রীক চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা”। অনুষ্ঠানে বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চীনে কোভিড-১৯ সনাক্তের পর মার্চের ৮ তারিখ বাংলাদেশে সনাক্ত হয়। দেশে ৬৬দিন সরকারি ছুটি কার্যকর ছিল। প্রয়োজনে সরকার অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অর্থনীতির উপর এর ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে নিতে হয়েছে অনেক পদক্ষেপ। সে কারনে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাস্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশ ও ভূটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস মার্সি মিয়াং টেমবোন, বিজিএমই-এর প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক, সানেম এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, বিআইডিএস এর সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ।
আরকে//