শয্যাশায়ী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে মামলা দিয়ে হয়রানি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৫০ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২০ শনিবার
চট্টগ্রামের খ্যাতনামা ও শয্যাশায়ী চিকিৎসককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ৯১ বছর বয়সী প্রফেসর ডা. আমিনুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়ার মির্জাখিলের বাড়ির পাশের কেনা ৬ গন্ডা জমি দখলের জন্য মির্জাখিল দরবার শরীফের ভক্তরা এক মাসের ব্যবধানে দুটি মামলা করে।
ডা. আমিনুল ইসলাম ছিলেন বন্দরনগরীর আসকার দিঘির পাড়ের বাসিন্দা। লন্ডনের রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান থেকে ফেলোশিপ প্রাপ্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ও মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। বর্তমানে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে শয্যাশায়ী।
ডা. আমিনুল ইসলামের বাড়ির পাশের কেনা জমি বেদখলের উদ্দেশে মামলা করেছিল পার্শ্ববর্তী মির্জাখিল দরবার শরীফের গদিনশীন আরিফুল হাই। সুপ্রিম কোর্টের আপিলের ডিভিশনের বিচারপতি আবদুল ওহাব মিয়া ও বিচারপতি ইমাম আলীর আদালতে এবং পরবর্তী রিভিওতেও জমি মালিকানা সংক্রান্ত রায়ে বলা হয়, এ জমির প্রকৃত মালিক ডা. আমিনুল ইসলাম। চলতি বছরে ১৩ ফেবধুয়ারি রিভিওর শুনানিতেও একই রায় বহাল রাখা হয়।
এরপর থেকে মির্জাখিল দরবার শরীফের ইন্ধনে পৃথক দুটি মামলা করা হয় সাতকানিয়ার সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ও যুগ্ম জেলা জজ আদালতে। এ দুটি মামলার একজন বাদী হলেন চট্টগ্রাম নগরীর কর্ণফুলী থানার শিকলবাহার মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালীর শাহ আলম। যা স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় গণ-বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এলাকায় উত্তেজনা ও ভীতি সঞ্চারের অপচেষ্টাও চালায়।
এ ব্যাপারে মির্জাখিল দরবার শরীফের গদিনশীন আরিফুল হাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ছেলে মাসুদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি জেনে পরে জানাবেন বলে আর যোগাযোগ করেননি।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাতকানিয়ার অধিবাসী ডা. মিনহাজুর রহমান এ ঘটনাকে হয়রানিমূলক উল্লেখ করে বলেন, ‘একজন নামকরা প্রবীণ ও শয্যাশায়ী চিকিৎসকের নামে এভাবে মামলা দেয়া হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্য ̈প্রনোদিত। উচ্চ আদালতে নিষ্পত্তি হওয়া নিজের জমি কিভাবে অন্যরা দাবি করে?’
আরকে//