ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে সংশয় (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০১ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০২০ সোমবার

সংশয় কাটছে না চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আয়োজন নিয়ে। প্রথম দফায় করোনা সংক্রমণের কারণে স্থগিত হয় গত ২৯ মার্চের ভোট। এরপর নিয়োগ দেয়া হয় প্রশাসক। ৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে প্রশাসকের মেয়াদ। তাই নির্বাচন কমিশনও ভোটের কথা ভাবছে। এমন প্রেক্ষাপটে আঘাত করছে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ।

নানা দ্বিধা-সংশয় থাকলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনে করছেন, জানুয়ারির মধ্যেই ভোট হতে পারে। এমন ধারণা থেকে মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা অনানুষ্ঠানিক জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। 

রাজনৈতিক দল সংশ্লিষ্টরা চান দ্রুত নির্বাচন।

আওয়ামী লীগের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল বলেন, এই নির্বাচনটা হয়ে গেলে জনসম্পৃক্ত হয়ে আমরা আরও বেশি করে কাজ করার সুযোগ পাব।

চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ বলেন, সারা বাংলাদেশে উপ-নির্বাচন থেকে শুরু করে অনেক নির্বাচন তো হলো। সরকারের যদি সৎ ইচ্ছা থাকতো তাহলে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনও করা যেতো। আমি মনে করি, সবকিছু বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব জরুরি।

শীতে করোনা সংক্রমণ বিস্তৃত হতে পারে এমন আশঙ্কায় নির্বাচন পেছানোর দাবিও করছেন কেউ কেউ। 

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মুজিব চৌধুরী বলেন, সবার যদি মঙ্গল আমরা চিন্তা করি, তাহলে নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে প্রশাসকের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে আরেকজন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া।

এদিকে নির্বাচন কর্মকর্তারা করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউকে ভাবনার মধ্যে রেখেছেন। তারা বলছেন, কোন কারণে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা না গেলে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ছয় মাসের জন্য আরেকজন প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, এই মেয়াদে করবেন, না সুবিধাজনক সময়ে করবেন নিশ্চয়ই নির্বাচন কমিশন সেটা ভেবে দেখবেন। যদি এ বিষয়ে কোন ধরনের সহায়তা বা আইনগত বিষয় দরকার হয় তাহলে নিশ্চয়ই দেশের রাষ্ট্রপতি আছেন বা সংসদ আছেন তাদের সহযোগিতা নিয়েও নির্বাচন কমিশন কাজ সম্পাদন করতে পারেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদের ৬ জনের সঙ্গে ১৬১ জন সাধারণ ও ৫৬ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এর মধ্যে সাধারণ থেকে ৩ জন ও সংরক্ষিত থেকে ১ জন মারা গেছেন।

এএইচ/এসএ/