শীত নিবারণের কারিগরদের থামাতে পারেনি করোনা
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৫:০৬ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার
ঝালকাঠিতে শীত নিবারণে ব্যস্ত সময় পার করছে লেপ-তোষকের কারিগররা। প্রত্যেক বছরে শীতের আগমণী বার্তা শুরু হতেই ভীড় জমে লেপ-তোষকের দোকানে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সকাল হলেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন লেপ-তোষক বানানোর কাজে। করোনা হানা দিয়ে জনজীবন থমকে দিলেও থামাতে পারেনি শীত নিবারণের কারিগরদের ব্যস্ততা।
গত কয়েকদিন ঝালকাঠি শহরের প্রাণকেন্দ্রে তোষকপট্টির বেশ কয়েকজন লেপ-তোষক দোকান মালিক-কর্মচারী ও পূর্ব চাঁদকাঠি ভিআইপি সড়কের পাশে লেপতোষক তৈরির কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- বর্তমানে তারা খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা বিভিন্ন রকম তুলা দিয়ে লেপ-তোষক-বালিশ ও নারকেলের ছোবড়া দিয়ে জাজিম তৈরি করে থাকেন।
খুচরা বাজারে তুলার দাম প্রকার ভেদে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। চলতি বছর পচা তুলা ৩০ টাকা, উইল তুলা ৫০ টাকা, সাদা সুপার ১০০ টাকা, পলি তুলা ২৫০ টাকা, কার্পাস তুলা ২৭০ টাকা, শিমুল তুলা ২২৫-৩৫০ টাকা, ফোম তুলা ১০০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে, ৬ ফুট বাই ৭ ফুট প্রতিটি লেপের মজুরী ২৫০ টাকা, তোষক ৩০০ টাকা, বালিশের কভার ২০ টাকা এবং লেপের কভারের মজুরী ৩০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া জাজিম তৈরির জন্য নারকেলের ছোবড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।
এ প্রতিবেদককে তারা আরও জানায়, “বছরে গড়ে এক লাখ টাকা বেচাকেনা হলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা লাভ হয়। তবে লেপতোষক সিজনাল ব্যবসা হওয়ায় এর সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও কারিগরদের এ পেশার মাধ্যমে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয়। তার ওপর বছরে একবার দেড়/দু হাজার টাকা লাইসেন্স নবায়ন ফি, দোকান ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল দিয়ে দেয়ার পর লাভ তেমন একটা থাকেই না।”
এক্ষেত্রে কারিগররা ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি কমানোরা দাবি জানান পৌর মেয়রের নিকট। করোনাকালে ৬/৭ মাস কোনও কাজ না থাকায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। এ অবস্থায় কারিগরদের সরকারি প্রণোদনাসহ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সুদবিহীন লোন দেয়া প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠির পৌর মেয়র আলহাজ্ব লিয়াকত আলী তালুকদার জানান, “করোনায় সকল ব্যবসায়ী কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই মুহূর্তে ট্রেড লাইসেন্সের নবায়ন ফি কমানো বা মওকুফ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আবেদন করলে ট্রেড লাইসেন্স-এর সুদ মওকুফ করা যেতে পারে।”
এনএস/