কাপ্তাই হ্রদকে আরো শতবর্ষ ব্যবহার উপযোগী রাখতে সচেতন হওয়ার আহ্বান
প্রকাশিত : ১২:৪২ পিএম, ২০ মে ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ১২:৪৮ পিএম, ২০ মে ২০১৭ শনিবার
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় কৃত্রিম হ্রদ কাপ্তাই। ১৯৬০ সালে কর্ণফুলী নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে এ হ্রদ নির্মাণ করা হয়। বিদ্যুৎ ও মৎস্য উৎপাদনের পাশাপাশি দেশের পর্যটন শিল্পেও ভূমিকা রাখছে এই হ্রদ। কাপ্তাই হ্রদকে আরো শতবর্ষ ব্যবহার উপযোগী রাখার বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান স্থানীয়দের।
অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলানিকেতন কাপ্তাই হ্রদ।
হ্রদের চারপাশে উঁচু-নিচু পাহাড়-পর্বত, আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা, অথৈ পানি, গাঢ়-সবুজ বন, আর উপজাতিদের জীবনধারা কাপ্তাই লেকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান করতে ১৯৫৬ সালে রাঙামাটি জেলায় কর্ণফুলি নদীর উপর নির্মাণ করা হয় কাপ্তাই বাঁধ।
এ বাঁধের ফলে ডুবে যায় রাঙামাটি জেলার ৫৪ হাজার একর কৃষি জমি। তলিয়ে যায় চাকমা রাজবাড়িসহ বৃহৎ বৌদ্ধ মন্দিরও। সৃষ্টি হয় ২৯২ বর্গমাইল এলাকার বিশাল জলাধার। এটাই এখন পরিচিত কাপ্তাই হ্রদ নামে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বর্তমানে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। পরবর্তীতে কাপ্তাই লেককে ঘিরেই মূলত রাঙামাটি জেলার পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে। এই লেকের উপর রয়েছে ঝুলন্ত ব্রীজ। লেকের দুই ধার পাহাড়-টিলা ঘেরা। ট্রলারে করে যাওয়া যায় শুভলং জলপ্রাপাতে।
বাঁধের কারণে মানুষ যেমন হারিয়েছে, পেয়েছেও অনেক। তাই কাপ্তাই হ্রদকে আরো শতবর্ষীয় ব্যবহার উপযোগী রাখার জন্য সবাইকে সচেষ্ট হবার আহ্বান জানান সচেতন মহল।
কাপ্তাই হ্রদকে ঘিরে যে মৎস্য, পর্যটন ও বনজ শিল্প গড়ে উঠেছে তার উন্নয়নে এবং হ্রদ রক্ষায় এগিয়ে আসবে সবাই, এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।