পরমাণু বিষয়ে নতুন আইন পাস করল ইরান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৯ এএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার
পরমাণু উৎপাদন কেন্দ্রে জাতিসংঘের পরিদর্শন বন্ধ করতে এবং ইউরেনিয়ামের উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ হিসেবে পার্লামেন্টে নতুন একটি আইন পাস করেছে ইরান। দেশটির শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার ঘটনার পর এই পদক্ষেপ আসলো। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
এই আইনের মাধ্যমে ইরান সরকার পরমাণু সমৃদ্ধকরণ বাড়াতে পারবে ২০ শতাংশ পর্যন্ত, ২০১৫ সালে শীর্ষ রাষ্ট্রগুলোর পরমাণু চুক্তি অনুসারে যা ছিল ৩.৬৭ শতাংশ।
ইরানি গার্ডিয়ান কাউন্সিল অনুমোদিত নতুন এ আইন অনুসারে, ইরানের তেলক্ষেত্র ও অর্থনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা সহজ করতে পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ইউরোপের দেশগুলোকে দুই মাসের সময় বেধে দেয় তেহরান।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া এবং জার্মানি। তবে ২০১৮ সালে এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইরানের দেয়া ডেডলাইন অনুসারে নিষেধাজ্ঞা সহজ না করলে দেশটির সরকার ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াবে এবং উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত করবে। এ ছাড়া পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে জাতিসংঘের পরিদর্শনও বন্ধ করে দেবে।
‘এক চিঠিতে নতুন আইন কার্যকর করতে প্রেসিডেন্টকে আহ্বান জানিয়েছেন পার্লামেন্টের স্পীকার’ বুধবার এক প্রতিবেদনে এমন খবর দিয়েছিল ইরানের ফার্স সংবাদ সংস্থা।
তবে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, তার সরকার এই আইন অনুমোদনে একমত নয়। এ পদক্ষেপ পরমাণু চুক্তি অনুসারে বিশ্বশক্তিগুলোকে সমঝোতায় ফিরিয়ে আনার কূটনীতিকে বাধাগ্রস্ত করবে।
রুহানির মধ্যপন্থী মন্ত্রিসভা জানায়, ইরানের পরমাণু সংক্রান্ত যে কোনো পদক্ষেপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে সুপ্রিম জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের ওপর।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার তেহরানের কাছে দামাভান্দ কাউন্টির আবসার্ড এলাকায় হামলার শিকার হন শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী ফখরিযাদেহ। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে তিনি মারা যান।
এ ঘটনার জন্য ইসরাইলসহ আন্তর্জাতিক শক্তিকে দায়ী করেন ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। যদিও এ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা নিয়ে ইসরাইল আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি।
এএইচ/ এসএ/