ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৭ ১৪৩১

বাঙালির সংস্কৃতি বির্নিমাণে বাংলা একাডেমি (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:১০ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

৬৫ বছর পূর্ণ করলো বাংলা একাডেমি। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, এর চর্চা, গবেষণা ও বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রকাশনা, গবেষণা ও ফোকলোরসহ বেশকিছু বিভাগ নিয়ে বিরতিহীন কাজ করে চলেছে। বাঙালির আশা-আকাঙ্খা পূরণে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান মহাপরিচালক। 

বঞ্ছনার প্রেক্ষাপটে ১৯৪৮ সালে বাঙলা ভাষা ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। ১৯৫২’র ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষার দাবিতে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হলে বৃদ্ধিজীবী শ্রেণী বাংলা ভাষা রক্ষায় একটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন অনুভব করেন। ১৯৫৫ সালের ৩রা ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠা পায় বাংলা একাডেমি।

বর্ধমান হাউজের স্বল্প পরিসরে ৪টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু। স্বাধীনতার পর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় প্রতিষ্ঠানটি।

সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশ এবং শিল্প-সাহিত্য সংরক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে জাতির মানসিক বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধনে নিরলস কাজ করাই বাংলা একাডেমির লক্ষ্য।

স্বাধীনতার পর থেকে গ্রন্থমেলা আয়োজন, বই, পত্রিকা ও মুখপত্র প্রকাশসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলা একাডেমি। সেই সাথে ভাষা আন্দোলন, ভাষাশহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণ, ফেলোশিপ প্রদান ও বিভিন্ন পদক দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের ভেতর দিয়ে আমাদের নিত্য বছরের অঙ্গিকারগুলোকে আমরা পরিশুদ্ধ করতে চাই। ভাষা আন্দোলনের ভেতর দিয়ে অর্জিত দেশটি তার ভাষা নিয়ে গর্ব করার যে ভিত্তিটুকু রচনা করেছে, বাংলা একাডেমি সেই ভিত্তিটুকুর উপর দাঁড়িয়েই তার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

শুধু ভাষার অধিকার আদায়ের সংগ্রামী ভাবাদর্শের প্রতীক রূপেই নয়, বিশ্বের ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রসিদ্ধ কেন্দ্রগুলোর অন্যতম বাংলা একাডেমি। 

মহাপরিচালক আরও বলেন, বাংলা একাডেমি এখন পৃথিবীতে বসবাসরত ৩৬ কোটি জনগোষ্ঠীর প্রাণের প্রতিষ্ঠান। ভাষা বিন্যাস, ভাষা সংস্কারের পাশাপাশি আমরা মৌলিকভাবে ভাষা চিন্তা নিয়ে যেসব কার্যক্রম করবো তাই হবে আগামী দিনে আমাদের সন্তানদের, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাজ।

বাঙালির সংস্কৃতি বির্নিমাণে বাংলা একাডেমি তার অভিযাত্রা অব্যাহত রাখবে বলেও মত তাঁর।

এএইচ/এসএ/