ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

শুধু নামেই পৌরসভা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৩০ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২০ শুক্রবার

নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন শুধু নামেই পৌরসভা। রাজধানী সংলগ্ন ক্রমবর্ধমান এলাকাটি পাল্টে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু অন্ধকার আজও বিদ্যমান। 

পৌরসভা হওয়ার পর শীতলক্ষাপারের মানুষ ভেবেছিলেন দৈনন্দিন জীবনে বুঝি বিশাল এক পরিবর্তন আসবে। কিন্তু ল্যান্ডফিল আর ডাস্টবিনের অভাবে কাঞ্চনের বাতাস সারাক্ষণ ছড়ায় ময়লার দুর্গন্ধ। পৌরসভার চেষ্টা থাকলেও আছে লোকবল আর বরাদ্দের সঙ্কট।  

স্থানীয়রা বলছেন, ‘রাস্তা-ঘাটে ময়লা আবর্জনা দিয়ে ভর্তি। দুর্গন্ধে হাঁটাও যায় না। কাঞ্চন নদীতে কোন ঘাটই নেই। শতবার চেষ্টার পরও পৌরসভার উন্নয়ন আমরা দেখতে পারছি না। এমনকি যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন, তারাও অসুস্থ হয়ে যান।’ 

শহরের ভেতর দিয়ে এঁকেবেঁকে গেছে মাটির রাস্তা। নতুন সড়ক নির্মাণ চললেও তাতে নেই ড্রেনের দেখা। অল্প বৃষ্টিতে ডুবে যায় শহরের কিছু অংশ। একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারপাশও ডুবে আছে এই শীতে।

স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তাঘাটগুলো অত্যন্ত ছোট, এক গাড়ী গেলে আরেক গাড়ি যাওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশেই ডোবা থাকায় একটু বৃষ্টি হলে কোন মানুষ যাওয়ার উপায় থাকে না। কিন্তু এমন বেহাল দশা দেখার যেন কেউ নেই।’

ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশেই ময়লার স্তুপ। এখানে যে ড্রেন আছে তা বুঝার উপায় নেই। বালু ভরে রাস্তার সাথে মিশে গেছে।’

জানতে চাইলে কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। অতীতে দুইজন মেয়র ছিলেন, যারা নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত ছিল, জনগণের জন্য কিছুই করেনি। ফলে উন্নয়ন হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের জন্য অন্যান্য পৌরসভার থেকে বরাদ্দ বেশি দরকার। কিছু খাল দখল হয়েছে, তা দখলমুক্ত করতে চাই। আগামী বছরের জানুয়ারিতে বরাদ্দ আসলে একশ ভাগের মধ্যে ৪০ ভাগ কাজ হয়ে যাবে।’


এআই/এসএ/