ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১

টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে: কৃষিমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৪ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ শনিবার

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থা ও শস্যের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস’ উপলক্ষে অনলাইনে আয়োজিত সেমিনার, শোকেসিং ও সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো- ‘মাটিকে সজীব রাখুন, জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করুন’। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিধান কুমার ভান্ডারের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।

এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার এবং এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন।

কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেন, টেকসই মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনার ওপর মানুষের জীবন-জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তা নির্ভর করে। দেশে বর্তমানে ১৭ কোটি মানুষ রয়েছে। প্রতি বছর তার সঙ্গে ২২ লাখ নতুন মুখ যুক্ত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, শিল্পায়ন, নগরায়ন, বাড়িঘর নির্মাণ, রাস্ত-ঘাট তৈরিসহ নানা কারণে চাষের জমি কমছে। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবও মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সেজন্য মাটিকে সজিব রাখতে হবে, মাটির গুণাগণ বজায় রাখতে হবে।

ড. রাজ্জাক বলেন, শুধু কৃষি নয়, মাছ, প্রাণিসম্পদ ও পোল্ট্রির খাদ্যও মাটি থেকে আসে। সেজন্যও মাটিকে বাঁচাতে হবে। তিনি বলেন, এছাড়াও দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে গিয়ে শস্যের নিবিড়তা বাড়ছে। কিন্তু মাটির উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে। টেকসই মাটি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাটির উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। মাটিতে গাছের অপরিহার্য পুষ্টি উপাদানের মান বজায় রাখতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, মাটির গুণাগুণ ধরে রাখতে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমি, পাহাড়ি এলাকার জমিকে চাষের আওতায় আনার জন্য গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে টেকসই মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনায় সংস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

শ ম রেজাউল করিম দিনের দ্বিতীয় সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন।

এ বছর সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন কৃষক পর্যায়ে আম চাষী মো. মতিউর রহমান, শিক্ষাবিদ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিভাগের অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম এবং মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ড. জেড করিম।

আরকে//