করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে চিংড়ি শিল্পে (ভিডিও)
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:২৩ পিএম, ৬ ডিসেম্বর ২০২০ রবিবার
মহামারী করোনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সাতক্ষীরার সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি শিল্পে। উৎপাদন বাড়লেও কমেছে রপ্তানি। দেশের বাজারেও কমেছে বেচাকেনা। ফলে বিপাকে পড়েছেন চিংড়ি চাষীরা। রপ্তানি বাজার ধরে রাখতে সরকারি পদক্ষেপের দাবি তাদের।
প্রবল জোয়ার, ঘূর্ণিঝড় ও নদীভাঙন-সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলা। প্রতি বছরই এসব কারণে পানিতে ভেসে যায় হাজার হাজার বিঘার চিংড়ি ঘের। এবার মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে এসেছে করোনা।
রপ্তানি ও দেশের বাজারে বিক্রি কমে যাওয়ায় বিপাকে চিংড়ি চাষীরা। ১২ থেকে ১৩শ’ টাকা কেজি দরের গলদা চিংড়ি এখন বিক্রি হচ্ছে ৮শ’ থেকে হাজার টাকায়।
চিংড়ি চাষীরা জানান, ৭০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে কিন্তু খরচ হয়ে গেছে দেড় লাখ টাকা। আরেক চাষী জানান, ১২ বিঘার ঘেরে ১২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমি মাছ বিক্রি করেছি মাত্র সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
ভরা মৌসুমে দাম ভালো না পাওয়ায় চাষীদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ফড়িয়া ও আড়তদাররাও।
আড়তদাররাও জানান, পাঁচ-ছয় মাস আগে যে দাম ছিল এখন তার অর্ধেকেরও নীচে চলে এসেছে। আগে গলদা কিনেছি হাজার-বারশ’ টাকায় সেই মাছ এখন কিনতে হচ্ছে ৭ টাকায়।
সাতক্ষীরার বিনেরপোতা মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি রাম প্রসাদ সরকার বলেন, চিংড়ি ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত। বৈদেশিক বাণিজ্যের মন্দার কারণে আমাদের চিংড়ি মাছের দাম অনেক কমে গেছে।
এদিকে, এবারে উৎপাদন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তা।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, চিংড়ি চাষের জন্য যে আবহাওয়া দরকার সেটি আমাদের যথেষ্ট অনুকূলে ছিল বিধায় এবছর উৎপাদন আরও বেশি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে চিংড়ি যখন বিদেশে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায় তখন অনেকে চিংড়িপোনা ছাড়তে ভিত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।
গত বছর ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে হলেও এ বছর ৭৬ হাজার হেক্টর জমিতে বাগদা ও গলদা চিংড়ির চাষ হয়েছে।
ভিডিও-
এএইচ/