পুলিশি প্রহরায় জবির গুচ্ছ ভাস্কর্য ও মুর্যাল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:০৫ পিএম, ৬ ডিসেম্বর ২০২০ রবিবার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) জাতির জনকের মুর্যাল ও '৭১ এর গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি' নামক দেশের একমাত্র গুচ্ছ ভাস্কর্য ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, শনিবার কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর চালায়। এমনটি ঘটার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য ও ম্যুরালের নিরাপত্তায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ঘটনার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নড়েচরে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও ম্যুরালে হামলা ঠেকাতে মাঠে নামে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে জবির ভাস্কর্য ও ম্যুরালে পুলিশের নিরাপত্তা প্রহরা বসে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল এবং প্রধান ফটক থেকে একটু ভেতরে এগোলেই চোখে পড়ে '৭১ এর গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি' নামক গুচ্ছ ভাস্কর্য শান্ত্ব চত্তরে পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়।
কোতয়ালী থানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, ভাস্কর্য বিরোধিতা নিয়ে যাতে নিরাপত্তার কোন বিঘ্ন না ঘটে ও যেকোন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহতে তৎপর রয়েছেন তারা।
জানা যায়, ভাস্কর্য নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। ইসলামপন্থী কয়েকটি সংগঠন এটি আন্দোল গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। এরমধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ভাস্কর্য বিরোধীরা ঢাকায় মিছিল করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর শনিবার অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা কুষ্টিয়া শহরে পৌরসভা থেকে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটির ভাঙচুর চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এঘটনার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, ভাস্কর্য বিরোধী অপতৎপরতা প্রতিহতে প্রশাসনের জোর নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি এখানকার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও সোচ্চার হয়ে উঠেছে। গতকাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ভাস্কর্য বিরোধী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
কেআই//