পোর্ট কানেকটিং সড়ক সংস্কারে ধীর গতি, বাড়ছে ভোগান্তি (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৪১ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার
চট্টগ্রামের পোর্ট কানেকটিং সড়কটি স্থানীয়দের ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠেছে। সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের শেষ দিকে। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের মে মাসে। নানা কারণে পিছিয়ে তৃতীয় দফায় কাজ শেষ করার লক্ষ্য দেয়া হয়েছে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি।
ছয় লেনের পোর্ট কানেকটিং সড়কটি দৈর্ঘ্যে ৬ কিলোমিটার। এর সংস্কারে ব্যয় ধরা হয় ১৫০ কোটি টাকা। কাজ ভাগ করে দেয়া হয় চার ঠিকাদারকে। নির্দিষ্ট সময়ে সংস্কার শেষ না হওয়ায় এই সড়কে মানুষের যাতায়াত কমে যায়। অনেক ব্যবসায়ী তাদের প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেন।
ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, ২০১৭ সালের শেষের দিকে এই রাস্তাটির কাজ শুরু হয়। শুরু হওয়ার পর তিন বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত রাস্তাটির কাজ শেষ হয়নি।
আলোচিত–সমালোচিত জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠানও এই প্রকল্পে কাজ পায়। শামীম গ্রেপ্তার হলে তার প্রতিষ্ঠান কাজ ফেলে সটকে পড়ে। অন্য ঠিকাদাররাও কাজ করছে ধীর গতিতে- জানান সিটি করপোরেশনের প্রশাসক।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, বন্দর বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। বন্দরের প্রডাক্টিভিটি বজায় রাখতে হয়, তাহলে আমার এই রোডগুলোকে ঠিক রাখতেই হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হবে বলে জানান তিনি।
খোরশেদ আলম সুজন আরও বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজ শেষ করার মেয়াদ আছে। অনেক বড় কাজ, ৯ ইঞ্চি কার্পেটিং হবে। এখন আমরা চেষ্টা করছি এই ডিসেম্বরের মধ্যে একটা সাইড খুলে দেয়ার।
এমন পরিস্থিতির জন্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দায়ী বলে দাবি করেন একজন ঠিকাদার।
ঠিকাদার মঞ্জুর আলম বলেন, করোনার কারণে আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। পরবর্তী পর্যায়ে যখন কাজ শুরু করলাম তখন প্রবল বর্ষ হচ্ছিল। অক্টোবর পর্যন্ত কাজ করা যায়নি। যেহেতু ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমার সময় রয়েছে, এর মধ্যেই আমি কাজ সম্পন্ন করতে পারবো।
পোর্ট কানেকটিং সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম নগরের অন্য সড়কের ওপর পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ কমবে। ভোগান্তিরও অবসান হবে আশপাশের বাসিন্দাদের।
ভিডিও :
এএইচ/এসএ/