ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ভিডিও দেখুন

ইতিহাসের স্মারকগুলোকে রক্ষণাবেক্ষণের দাবি খুলনাবাসীর

খুলনার বিভাগীয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার

‘অদম্য বাংলা’ কিংবা ‘বীর বাঙালি’। এমন সব মুক্তিযুদ্ধের স্মারক রয়েছে খুলনা মহানগরীতে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটিকে আড়াল করেছে বিলবোর্ড ও ব্যানার-পোস্টার। ইতিহাসের এই স্মারকগুলোকে সম্মানের সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়েছে খুলনাবাসী।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন ‘অদম্য বাংলা’ ভাস্কর্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভাস্কর্যটি। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার পার হলেই চোখে পড়বে প্রাণের ‘দুর্বার বাংলা’। 

খুলনা বেতার, প্রেসক্লাব ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের আর্কাইভ যাদুঘর। এগুলো নব প্রজন্মের কাছে চেতনার উৎস, ইতিহাসের স্মারক।

স্থানীয়রা জানান, ভাস্কর্য সংগ্রামের প্রতীক বহন করে, আমাদের ইতিহাসকে তুলে ধরে। গত দিনের যে ইতিহাস, গতদিনের যে ঘটনা সেটি আজকের ইতিহাস। এটি থাকবে, থাকতে হবে। 

আরেকজন জানান, শুধু ভাস্কর্য নয়, এর পাশাপাশি যে কোন গাছ বা বিলবোর্ড দিয়ে আড়াল করে আমাদের দৃষ্টিকে সীমার মধ্যে যেন না রাখা হয়।

খুলনা নগরীর নতুন রাস্তার মোড়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘বীর বাঙ্গালী’, শিববাড়ি মোড়ে আছে ‘মুক্তিযুদ্ধের অর্জন’।

খুলনা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম বলেন, ভাস্কর্য তো ইতিহাসের ঐতিহ্য স্মৃতি বহন করে। ভাস্কর্য প্রজন্মকে শিক্ষা দেয় তার অতীত ইতিহাসে কারা ছিল, কি ছিল তারই একটি প্রতিছবি। সেই ইতিহাস যদি কোন মৌলবাদ স্বীকার না করে, তারা এটি ভাঙতে চাইবেই।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি হুমায়ুন কবির ববি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যেখানে আছে এবং মুক্তিযুদ্ধের যে সমস্ত ভাস্কর্য আছে সেগুলো সংরক্ষণের ক্ষেত্রে, পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকার ও যে যে প্রতিষ্ঠানে তৈরি হয়েছে সেই সেই প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

নানা স্থানে স্থাপিত সব মুক্তিযুদ্ধের স্মারক সম্পর্কে নগরবাসীকে জানানো জরুরি বলে মনে করে সচেতন মহল।
ভিডিও :

এএইচ/এসএ/