ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ইসরাইলি ফুটবল ক্লাবের অর্ধেক কিনলেন আমিরাতের শেখ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৫৫ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার

সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক শেখ ইসরাইলি একটি ফুটবল ক্লাবের অর্ধেক মালিকানা কিনে নিয়েছেন। যে ক্লাবটির আরব-বিদ্বেষের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তবে এই ক্লাবটির অংশীদার হতে পেরে ওই শেখ রোমাঞ্চিত। খবর বিবিসি’র।

ইসরাইলের শীর্ষস্থানীয় বেইতার জেরুযালেম নামের ক্লাবটিতে আগামী ১০ বছরে ৯২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবেন শেখ হামাদ বিন খলিফা আল নাহিয়ান।

এই ক্লাবের মালিকানা নেয়ার পর শেখ হামাদ বলেছেন, আমি রোমাঞ্চিত এই গৌরবময় ক্লাবের অংশীদার হতে পেরে। আমি এই শহর সম্পর্কে অনেক শুনেছি, বিশ্বের অন্যতম পবিত্র শহর।

তিনি আরও বলেন, এই ক্লাবে যেসব পরিবর্তন আসছে তা আমার জানা আছে। যেভাবে সব চলছে আমি এর ভাগীদার হতে পেরে খুশি।

ইসরাইলের শীর্ষস্থানীয় ফুটবল ক্লাব বেইতার জেরুযালেম ছয়বার ইসরাইলের প্রিমিয়ার লিগে জয় পেয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামেন নেতানিয়াহু এই ক্লাবটির সমর্থক।

এই ক্লাবটি পরিচিত তোদের ‘উগ্র’ সমর্থকগোষ্ঠীর জন্য। যারা ‘লা ফ্যামিলিয়া’ নামে পরিচিত। তারা আরবদের প্রতি সরাসরি বর্ণবাদী। ক্লাবটির স্টেডিয়ামে ‘আরবদের মৃত্যু’ এমন স্লোগান শোনা যেত নিয়মিত। ক্লাবটির মালিকরা কখনোই আরব বা মুসলিম ফুটবলার কিনতেন না।

তবে ২০১৩ সালে দু’জন চেচেন মুসলিম ফুটবলার কেনার পর ওই ক্লাবটির অফিস জ্বালিয়ে দেয়া হয়। তখন
লা ফ্যামিলিয়ার দুই সদস্যকে আগুন জ্বালানোর জন্য গ্রেফতার করা হয়।

ক্লাবটির বর্তমান মালিক ইসরাইলের প্রযুক্তি উদ্যোক্তা মোশে হোগেগ ২০১৮ সালে বর্ণবাদ বিরোধী একটি প্রচারণা চালু করেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিবিসিকে তিনি বলেন, ভক্তদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে ‘একটি বর্ণবাদী মন্তব্য করলে আমি তোমাদের নামে মিলিয়ন ডলারের মামলা করবো।’

শেখ হামাদের সাথে এই নতুন চুক্তির পর কিছু সমর্থক বিরোধিতা করেছে।

মোশে হোগেগ জানিয়েছেন, এই চুক্তি হয়েছে ইহুদিদের হানুকা উৎসবের পরদিন। হানুকা হলো ইহুদিদের আলোর উৎসব। ক্লাবটিতে আরব শেখের বিনিয়োগকে ‘উত্তেজনাকর নতুন আলো’ বলে বর্ণনা করেছেন হোগেগ।

তিনি বলেছেন, ‘নতুন দিনে ক্লাবের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে, ইসরাইলি স্পোর্টসের স্বার্থে সহাবস্থান, অর্জন, ভাতৃত্ববোধের দিকে আগাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, ঠিক তিন মাস আগে প্রথম উপসাগরীয় আরব দেশ হিসেবে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে পদক্ষেপ নেয় আরব আমিরাত। ট্রাম্প প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়নে একটি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার লক্ষ্যে ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি সই করে আরব আমিরাত এবং বাহরাইন।
এএইচ/এসএ/