ভিডিও দেখুন
৪৯ বছর পর নিজ জেলায় ফিরছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:৩১ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২০ শুক্রবার
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে নিজ জেলায় ফিরছেন বীর বিক্রম খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এই মুক্তিযোদ্ধা ৫০ বছর ধরে চট্টগ্রামের রাউজানের গহীন অরণ্যে শায়িত। তার কবরের সন্ধান পাওয়ার পর, শুরু হয় এই বীর সন্তানকে নিজ গ্রামে স্থানান্তর করার আয়োজন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নোয়াগ্রামে ১৯৪৮ সালে জন্মেছিলেন শহীদ বীর বিক্রম আব্দুল মান্নান। ১৯৬৭ সালে তিনি তৎকালীন পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কালুরঘাটের প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেন তিনি।
১ নম্বর সেক্টরের এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার মাদানীঘাট এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন। সহযোদ্ধরা রাউজানের গভীর জঙ্গলে তাকে সমাহিত করেন। এরপর তার কবরের সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করা যাচ্ছিলো না।
নবীনগর অনলাইন এক্টিভিটিস ফোরামের অনুসন্ধানে চিহ্নিত হয় কবর। পরে শহীদ আব্দুল মান্নান স্মৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে কবর স্থানান্তরের অনুমতি দেয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এলাকাবাসীরা জানান, কবরটা নবীনগরে স্থানান্তরিত করার জন্যে আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে সফল হয়েছি। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই কৃতি সন্তানকে তার জন্মভূমির মাটিতে স্থানান্তরিত করার জন্য। তাতে নবীনগর বাসী তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী অত্যন্ত খুশি।
শহীদ আব্দুল মান্নান স্মৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক এম এস কে মাহবুব বলেন, আমি এই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যখন ধারাবাহিক লিখতে থাকি এবং ওনার যতগুলো বিরত্বের কাহিনী আছে তা এক এক করে প্রতিবেদন আকারে দেই। ওনার সহযোদ্ধাদের ভেতর যারা বেঁচে আছেন তাদের সবার সাথে আমি যোগাযোগ করি। একপর্যায়ে এই বিষয়টি গণদাবিতে পরিণত হলো।
নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের সন্তানকে নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে আনতে যা যা করা দরকার, প্রশাসন ও আমাদের এমপি মহোদয় ইতিমধ্যে সেখানে বরাদ্দ দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আল মামুন সরকার বলেন, ওনাকে কবরস্থ করার পর এখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ ও তার কবর সংরক্ষণ এবং যাতে ছাত্র-যুবকরা পরিদর্শন করতে পারে তার একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা দরকার। এটা করার জন্য আমি বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাই।
সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের সব স্মারক চিহ্নিত করে সংরক্ষণের আহবান জানিয়েছেন জেলার মুক্তিযোদ্ধারা।
ভিডিও :
এএইচ/এসএ/