‘স্বাধীনতা সড়ক’ হবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মারক (ভিডিও)
মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:৫১ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২০ শনিবার
ভারত থেকে যে পথ দিয়ে জাতীয় চার নেতা মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগরে এসে শপথ নিয়েছিলেন সেটি ‘স্বাধীনতা সড়ক’এ রূপান্তরিত হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, স্বাধীনতা সড়কে দু’দেশের মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা হলে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মারক হিসেবে সড়কটি আবারও মানুষের পদচারণায় মুখরিত হবে।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই সড়ক দিয়ে ভারত থেকে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় এসেছিলেন জাতীয় চার নেতা। সঙ্গে ছিলেন দেশি-বিদেশি শতাধিক সাংবাদিক, প্রেস ফটোগ্রাফার, বেতার ও টেলিভিশনের প্রতিনিধি। তাদের সামনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ ও প্রথম মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ হয়।
বৈদ্যনাথতলা এখন ঐতিহাসিক মুজিবনগর। ঐতিহাসিক এই সড়কটি স্বাধীনতা সড়ক নামকরণ করে চেকপোস্টের মাধ্যমে দু’দেশের মানুষের যাতায়াতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দীর্ঘ ৫০ বছর পর পূরণ হচ্ছে মেহেরপুরবাসীর দাবি। এতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হবে বলেও মনে করছেন তারা।
এলাকাবাসী জানান, চেকপোস্ট হলে অনেক মানুষের আগমন হবে, আরও মানুষের সমাগম হবে মুজিবনগরে। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। স্বাধীনতা সড়কটি বাস্তবায়ন হলে মুজিবনগবাসীর জন্য এটি হবে বড় গৌরব।
জাতীয় চার নেতাকে গার্ড অব অনার প্রদানকারী আনসার আজিমদ্দিন শেখ বলেন, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অর্নার করেছিলাম। ৫০ বছর পরেও যে আমার সরকার এটা করছে এতে আমি খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত।
এদিকে জেলা প্রশাসক জানান, সড়কটির সাথে মুক্তিযুদ্ধের আবেগ জড়িত।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে আমাদের যে বন্ধুত্ব, আমাদের যে স্বাধীনতার আবেগ ওইটা প্রস্ফূটিত হবে এই সড়কের মধ্য দিয়ে। এটি চালু হলে পরে এখানে ইমিগ্রেশনও থাকবে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্বাধীনতা সড়ক মেহেরপুরবাসীর জন্য একটি উপহার বলেও মনে করছে জেলা প্রশাসন।
ভিডিও-
এএইচ/