মানুষকে বিরক্ত করলে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৮ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২০ শনিবার
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, মানুষ বিরক্ত হয় এমন কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, “ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। আমাদের দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের তরুণ নেতাকর্মীদের বলবো যে, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন কিছু করা যাবে না। মানুষ বিরক্ত হয় এমন কোনো কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্ত্রী আজ বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালী এসব কথা বলেন।
রাঙ্গুনিয়ার কোদালা বাজার মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার। উদ্বোধক ছিলেন কোদালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম তালুকদার।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, তাঁর দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এবং নৌকা মার্কার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বদলে গেছে। আজ থেকে ১০ বছর আগের বাংলাদেশ এবং এখনকার উন্নয়নে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের চিত্রে আকাশ-জমিন ফারাক রয়েছে। এখন সকালবেলা মা আমাকে দু’মুঠো খেতে দাও, মা আমাকে বাসি ভাত দাও, সে কথা আর শোনা যায় না।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “রাঙ্গুনিয়ায় ১২ বছর আগে মাত্র ৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হতো, এখন বিদ্যুৎ খরচ হয় ২০ মেগাওয়াট।এর কারণ হচ্ছে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ চলে গেছে। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নে বদলে গেছে আমাদের দেশ। উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রেও কে কোন দলের বা কোন মতের ও পথের তা বিবেচনায় আনা হয়নি। উন্নয়নে বদলে যাওয়ার এবং মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা পাল্টে যাওয়ার এই গল্প সাধারন মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে। নতুন নেতৃত্বে তাদেরকেই আনতে হবে যারা দুঃসময়ে দলের সাথে ছিল। পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার ক্ষেত্রেও এটি মাথায় রাখতে হবে। কোন অনুপ্রবেশকারী এবং সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তিকে কমিটিতে স্থান দেওয়া যাবে না।”
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মাষ্টারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম চিশতি, সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিছ আজগর, সাবেক সদস্য নজরুল ইসলাম তালুকদার, উত্তরজেলা কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাউছার নূর লিটন প্রমুখ।
আরকে//