ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ওসি ও এসিল্যান্ড, জনমনে ক্ষোভ

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:৪৪ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠেছেন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশিক খান ও শাজাহানপুর (ওসি) আজিম উদ্দীন। এমন অভিযোগে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তি, মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা পারভীন, উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু, ভাইস চেয়ারম্যান এম সুলতান আহমেদ, নারী ভাইস হেফাজত আরা মিরা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), ওসি আজিম উদ্দীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালেবুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার সময় উপস্থিত ব্যক্তিরা স্মৃতিসৌধের বেদীতে উঠে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন। স্মৃতিসৌধে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের পরে এসব ছবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়।

ওইসব ছবিতে দেখা যায়- সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশিক খান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দীন জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধের বেদীতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।

জুতা পরে স্মৃতিসৌধের বেদীতে ওঠার বিষয়ে জানতে চাইলে আশিক খান বলেন, ‘এটা অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল ছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য ডাক দেওয়ায় তাড়াহুড়ো করে বেদীতে উঠে পড়ি। পরে পাশে থাকা কেউ একজন আমাকে জুতা পায়ে ওঠার বিষয়ে বলেন। তখন সঙ্গে সঙ্গে জুতা খুলে আবার বেদীতে উঠি।’

ভুলবশত স্মৃতিসৌধের বেদীতে উঠছেন বলে জানান শাজাহানপুর থানার ওসি আজীম উদ্দিনও। তার ভাষ্য, ‘ভুলে গিয়ে জুতা পরে উঠে গেছিলাম। পরে আশেপাশের লোকজন বলার পরপরই জুতা খুলে ফেলি। ভুলবশত এটা হয়ে গেছে।

এদিকে, জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধে ওঠার ঘটনাকে খুব দুঃখজনক বললেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলীপ ‍কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, এর অর্থ ওই কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার দরকার, এ জন্য তারা সেখানে ছিলেন। আসলে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে এমনই হয়।

শাজাহানপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার গৌর গোপাল গোস্বামী মোবাইলে বলেন, আশ্চর্যজনক বিষয়। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না। এটা কারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

এনএস/