সারাদেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৩৩ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৩:১৮ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার
আজ ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকী। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশসহ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেয়ার দিন। সারাদেশব্যাপী আজ গভীর শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় স্মরণ করছে সেইসব শহীদদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে প্রিয় স্বাধীনতা, লাল-সবুজের পতাকা।
সারাদেশের বিভিন্নস্থানে পালিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। প্রতিনিধিদের পাঠানো সেই সব খবর তুলে ধরা হলো-
বরিশাল প্রতিনিধি জানান, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বরিশালে প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বরিশাল জেলা ও মহানগর ইউনিট। এরপর প্রশাসনের পক্ষে প্রথমে বিভাগীয় কমিশনার অমিতাভ সরকার, পরে ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসক পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন।
ভোর সারে ৬টায় বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে তারা এ পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্প স্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। করোনা কারণে এ বছর বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ বন্ধ করা হয়েছে।
বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে বাগেরহাটে। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিনটির কর্মসূচি শুরু হয়। আর সকাল ৭টায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের দশানীস্থ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে গার্ড অব অনার প্রদান ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সকল শহীদদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এরপরেই বাগেরহাট সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসব কর্মসূচি শেষে দশানীস্থ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের ঢল নামে।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, যথাযথ মর্যাদায় সিরাজগঞ্জে ৪৯তম মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচির সুচনা পর বাজার ষ্টেশনস্থ বিজয় স্মৃতি সৌধে প্রথমে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ পুস্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড. কেএম হোসেন আলী হাসানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যেমে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানান। সকাল নয়টায় সার্কিট হাউজে আনুষ্ঠানিক সালাম ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়াও জেলার অন্যন্য উপজেলাতেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।
ভোলা প্রতিনিধি জানান, আজ ভোরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক ও বর্ধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে ভোলায় মহান বিজয় উৎসব পালন করে জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন। অপরদিকে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশপাশি শহরের ভাসানী মঞ্চে সমাবেশ ও র্যালী করে জেলা আওয়ামী লীগ। এ সময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জেলা আওযামী লীগ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব।
নরসিংদী প্রতিনিধি জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সীমিত পরিসরে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে নরসিংদীতে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে ৪৯তম মহান বিজয় দিবস। প্রতুষ্যে মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সকালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। এর পর সকাল ৮টায় সীমিত উপস্থিতিতে নরসিংদীর সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং প্যারেড ও কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে টাঙ্গাইলে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি বেসরকারি এবং মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। একই সাথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনি, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ, শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ ও শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়েছে।
নাটোর প্রতিনিধি জানান, বুধবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির পর স্বাধীনতা চত্বরের মুক্তিযোদ্ধা সৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে নাটোরে যথাযথ মর্যদায় মহান বিজয় দিবসের কর্মসুচি শুরু হয়। এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ। পরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন তাদের নিজস্ব ব্যানারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে।
এদিকে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সকাল ৮টায় শংকর গোবিন্দ মাঠে আনুষ্ঠানিক কুজকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও পুলিশ বাহিনী সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এতে অংশ নেয়।
জয়পুরহাট প্রতিনিধি জানান, ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে জয়পুরহাটে মহান বিজয় দিবসের শুভ সূচনা হয়। দিবসের প্রথম প্রহরে স্থানীয় কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সালাম কবির, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট। এছাড়াও পুষ্পস্তবক অর্পন করে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জয়পুরহাট প্রেসক্লাল, জেলা প্রেসক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক সংগঠন ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ।
গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে গাজীপুরে। সুর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তুপোধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কাযক্রম শুরু হয়। পরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। পরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ববি সংবাদদাতা জানান, যথাযোগ্য মর্যাদায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। উপাচার্য শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, কল্যাণ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু হল, শেরেবাংলা হল, শেখ হাসিনা হল ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সংগঠন উত্তরাধিকার পুষ্পার্ঘ অর্পণে অংশ নেয়। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাবিপ্রবি প্রতিনিধি জানান, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যলয়ের অস্থায়ী প্রশাসনিক ভবনে এবং ঝগড়াবিলস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং আলোক সজ্জার মাধ্যমে রাবিপ্রবি মহান বিজয় দিবস পালন করেছে। ৩০ লাখ শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড: প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমার নেতৃত্বে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। তাছাড়া ঝগড়াবিলস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু মুর্যালে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। ঝগড়াবিলস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসের কনফারেন্স রুমে বঙ্গবন্ধু জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে রাজবাড়ীতে। বুধবার সকাল থেকে দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ও শ্রীপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও শহরের ১নং রেলগেট এলাকায় অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অপর্ণ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী, জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রামেও যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সুর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধব্বনির মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলেজ মোড়স্থ স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
পরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গকে সংবর্ধনা ও উপহার সামগ্রি বিতরণ, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা, হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশু পরিবার ও ভবগুরে প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, অনলাইন ও ডাকযোগে শিশুদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এছাড়া হবিগঞ্জে ‘দুর্জয় স্মৃতিসৌধ্যে’ জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এর আগে সেখানে বিজয়ের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট মো.আবু জাহির এমপি, হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি ও সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গায় শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
এসময় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জেলা পরিষদ ও রেডক্রিসেন্ট ইউনিটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুর ইসলাম জোয়ার্দ্দার।
শরীয়তপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে জেলাবাসীর পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো: পারভেজ হাসান। পরে পর্যায়ক্রমে পুলিশ সুপার এস এম আশ্রাফুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, বিভিন্ন রাজনৈতিদল ও সামাজিক সংগঠন, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ এবং বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয় জাতির সূর্য সন্তানদের।
এর পর সকাল ৭:২০ টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিদিগন মহিষার গণকবর, আটিপাড়া ও মনোহর বাজার মধ্যপাড়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ জিয়ারত ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন।
সকাল সাড়ে ৮ টায় শরীয়তপুর সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। শরীয়তপুরের বিভিন্ন হাসপাতাল, শিশু পরিবার, জেলখানা ও এতিম খানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশনসহ সকল মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত এবং প্রার্থনা করা হয়।
এএইচ/এসএ/