ধর্ষণকারীকে খোজা করবে পাকিস্তান, অধ্যাদেশ জারি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৫৫ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার
ধর্ষণের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা এবং শাস্তি কঠোর করার লক্ষ্যে নতুন ধর্ষণ বিরোধী অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করেছেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি। যৌন নিপীড়কদের জাতীয় তালিকা তৈরি করা, যৌন অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীদের গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং ক্ষেত্র বিশেষে অপরাধীদের রাসায়নিকভাবে খোজাকরণের মত বিধান রাখা হয়েছে ওই অধ্যাদেশে। খবর বিবিসির।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার মন্ত্রিসভা গতমাসে অধ্যাদেশটির অনুমোদন দেন এবং মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এটিতে স্বাক্ষর করেন।
অধ্যাদেশটিতে বলা হয়, ধর্ষণের মামলা বিশেষ দ্রুত বিচার আদালতে করা হবে। যেখানে চার মাসের মধ্যে রায় দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।
লাহোরের উপকণ্ঠে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশিত হলে জনরোষ তৈরি হওয়াকে কেন্দ্র করে এই নতুন আইন প্রণীত হল।
একটি মহাসড়কের পাশে দুই সন্তানের সামনে ওই নারী নির্যাতনের শিকার হন। লাহোরের পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা ওই ঘটনার পরদিন মন্তব্য করেন যে, ঘটনার জন্য ওই নারীও আংশিকভাবে দায়ী ছিলেন। পুলিশ কর্মকর্তার ওই মন্তব্যের পর পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু করে মানুষ, যার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান সরকার ওই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
পরবর্তী ১২০ দিনের মধ্যে সংসদে উত্থাপনের মাধ্যমে এটিকে চূড়ান্তভাবে আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে পাকিস্তান সরকার। ততদিন পর্যন্ত অধ্যাদেশটি বলবৎ থাকবে।
তবে অনেকেই এই অধ্যাদেশের সমালোচনা করেছেন। তাদের বক্তব্য, এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী শাস্তি অতিরিক্ত কঠোর।
যৌন নিপীড়কদের শাস্তি হিসেবে আরও কয়েকটি দেশ রাসায়নিকভাবে খোজাকরণ বা ওষুধ ব্যবহার করে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমানোর মত পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।
২০১৬ সালে ইন্দোনেশিয়া শিশুদের সাথে যৌন নিপীড়নের শাস্তি হিসেবে রাসায়নিক বন্ধ্যাকরণের শাস্তির বিধান চালু করে। পোল্যান্ডে শিশুদের ধর্ষণ করার শাস্তি হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের রাসায়নিক খোজাকরণ করার আইন রয়েছে।
এএইচ/এসএ/