ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সুপ্ত মেধা ও যোগ্যতা কাজে লাগানোর আহবান এলজিআরডি মন্ত্রীর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২০ রবিবার

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশকে উন্নয়নের কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিতে হলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে লুকায়িত মেধা, যোগ্যতা এবং সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।

রাজধানীর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদে ইনডোর স্টেডিয়ামে (বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স) বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী ব্যাডমিন্টন র‌্যাংকিং টুর্নামেন্ট-২০২০-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ এ সব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি ও তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করা ছেলে-মেয়েদের মধ্যেও সুপ্ত প্রতিভা আছে। এই প্রতিভাকে খুঁজে বের করে কাজে লাগাতে পারলে সেই সন্তানটি হয়তো একদিন দেশে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে। দেশকে বিশ্ববাসীর কাছে মর্যাদার আসনে আসীন করবে। দেশ পৌঁছে যাবে উন্নয়নের কাঙ্খিত লক্ষ্যে।’

তথ্য প্রযুক্তির এই আধুনিক যুগে ছেলে-মেয়েদেরকে মাদকের ভয়ানক ছোবলসহ অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে রক্ষা করতে খেলাধুলার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, এটি সুস্থ ও নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ, পারস্পরিক বন্ধন এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করে সমাজে বড় ধরণের পরিবর্তন আনতে পারে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খেলাধুলার গুরুত্ব অনুধাবন করে তাঁর জীবদ্দশায় দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে বিস্তারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। খেলাধুলার মাধ্যমে মানুষের মানসিক পবিত্রতা অর্জিত হয় এবং সে পবিত্রতার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে ভালবাসা, একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধতা, দায়িত্ব ও বিপথগামী থেকে ফিরে আনার হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে কাজ শুরুর পাশাপাশি শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান তৈরি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ খেলাধুলার উন্নয়ন ব্যাপক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনাকে ক্রীড়াপ্রেমী উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে দেশ খেলাধুলার বিভিন্ন ইভেন্টে বিশ্ব দরবারে সম্মানজনক অবস্থায় জায়গা করে নিয়েছে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, চেতনা ও দর্শন হৃদয়ে ধারন করে পথ চলা শুরু করেছেন। আজ নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তাঁর নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হয়েছে এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত হবে।

তিনি বলেন, করোনার কারণে সারা বিশ্বে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে তেমনিভাবে বাংলাদেশও খেলাধুলাসহ স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটেছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেমে নেই। করোনা মহামারীর মধ্যেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

প্রতিযোগিতায় ১১৩ জন পুরুষ এবং ২৯ জন নারীসহ সর্বমোট ১৪২ জন খেলোয়ার অংশ নিচ্ছেন।

এসি