৪০০ বছর পর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:১৫ এএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার | আপডেট: ১০:১৫ এএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার
শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৬২৩ সালে। তখনো বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি জীবিত ছিলেন। টেলিস্কোপ আবিষ্কারের ১৩ বছর পর সে ঘটনাটি ঘটেছিল। সে হিসেবে ৩৯৭ বছর পর আবার এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হতে যাচ্ছে পৃথিবী।
আজ সোমবার বৃহস্পতি ও শনি একে অন্যের থেকে এক ডিগ্রির ১০ ভাগের এক ভাগ কাছাকাছি থাকবে। এর ৬০ বছর পর, অর্থাৎ ২০৮০ সালে আবার এত কাছে আসবে এ দুটি গ্রহ।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ৮০০ বছর আগে এই দুই গ্রহ এক সরলরেখায় এলেও শেষবার এত কাছে এসেছিল ১৬২৩ সালে।
ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ গবেষক অধ্যাপক ডেভিড ওয়েইনট্রাব জানিয়েছেন, এমন ঘটনা একজন মানুষ তাঁর জীবনকালে একবারই দেখার সুযোগ পেতে পারেন।
বিজ্ঞানীরা একে বলছেন ‘গ্রেট কনজাংশন’ বা ‘মহাসম্মিলন’ কিংবা ‘মহাযুগলবন্দি’। এই মহাজাগতিক ঘটনাকে ‘ক্রিসমাস স্টার ২০২০’ নাম দিয়েছে নাসা।
উল্লেখ্য, সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ বৃহস্পতি সূর্যকে প্রায় ১২ বছরে এক বার প্রদক্ষিণ করে। আর শনি যেহেতু সূর্য থেকে অনেক বেশি দূরে থাকে, তাই তার কক্ষপথের পরিধি বৃহস্পতির কক্ষপথের পরিধির চেয়ে অনেক বেশি। আর তাই সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে শনির লাগে প্রায় সাড়ে ২৯ বছর। অর্থাৎ শনি যখন সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ শেষ করে, বৃহস্পতি তখন সুর্যকে দুবার প্রদক্ষিণ করে ফেলেছে। এর ফলে বৃহস্পতি প্রতি ২০ বছর অন্তর শনিকে অতিক্রম করে এগিয়ে যায়।
আমরা আকাশে গ্রহ-তারাদের দূরত্ব বা গতি অনুধাবন করতে পারি না, শুধু বিভিন্ন সময়ে তাদের অবস্থান প্রত্যক্ষ করি। আর তাই পৃথিবী থেকে আমরা দেখতে পাই বৃহস্পতি শনির খুব কাছে এসে, তাকে পেরিয়ে আবার দূরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু, বৃহস্পতি আর শনি কতটা কাছাকাছি আসছে, তা নির্ভর করে পৃথিবীর অবস্থানের ওপর। আর সেই অবস্থান অনুযায়ী, এ বছর ২১ ডিসেম্বর (আজ) যখন বৃহস্পতি শনিকে অতিক্রম করবে, তখন পৃথিবী থেকে দুটি গ্রহের দূরত্ব হবে ন্যূনতম। সুতরাং তাদের ঔজ্জ্বল্য হবে সবচেয়ে বেশি।
এসএ/