করোনায় ধুকছে ফ্রান্স, আক্রান্ত বাড়লেও দেখা নেই সুস্থতার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:১৯ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার
করোনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে ধুকছে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। যেখানে প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে করোনাক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। একই সাথে দীর্ঘ হয়েই চলেছে লাশের মিছিল। কিন্তু সে তুলনায় দেখা মিলছে না সুস্থতার সংখ্যা।
করোনার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ব্রাজিল, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যে অর্ধেকের বেশি করোনা রোগী সুস্থতার লাভ করেছেন। এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার ভারত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলেও অধিকাংশ রোগীই বেঁচে ফিরেছেন। কিন্তু উল্টোচিত্র একমাত্র ফ্রান্সে।
যেখানে এখন পর্যন্ত ২৫ লাখের বেশি মানুষ ভাইরাসটির কবলে পড়লেও সুস্থতা লাভ করেছেন মাত্র ১ লাখ ৮৭ হাজার ভুক্তভোগী। সুস্থতার হারে যা ২৫ শতাংশ। গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন শূন্য দশমিক ১ শতাংশ এবং স্থিতিশীল রয়েছে ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ রোগী।
ফ্রান্সের এমন করুণ অবস্থার জন্য স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও স্বাভাবিক জীবনযাপনকে দায়ী করছেন দেশটির চিকিৎসকরা।
এদিকে ক্রিসমাসকে ঘিরে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে লকডাউন শিথিল করেছে দেশটি। জরুরি প্রয়োজনে জিনিসপত্রের পাশাপাশি অন্য দোকানও খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। ক্রিসমাসে যাতে মানুষজন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন, সেজন্যই মূলত কঠোরতা থেকে সরে এসেছে ফরাসি সরকার। তবে আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত পানশালা ও রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে।
এদিকে গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়ের ম্যাক্রো বলেন, ‘ফ্রান্স করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের চূড়া অতিক্রম করছে। লকডাউন শিথিল করায় দৈনিক সংক্রমণ যদি পাঁচ হাজারের মধ্যে থাকে তাহলে যাতায়াতে আর কোন বাধা থাকবে না।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে আমাদের সবকিছু করতে হবে। তৃতীয় দফা লকডাউন যেকোনভাবেই হোক ঠেকাতে হবে আমাদের। আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করব। এ সময়ের মধ্যে সংক্রমণ কমে গেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রেস্তোরাঁ ও পানশালা খুলে দেয়া হবে।’
ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত যত করোনা রোগী সেরে উঠেছেন, প্রকোপ দেখা দেয়ার মাঝামাঝি সময়ে তথা ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে এত মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর দু’মাস যোগ হতে অক্টোবরে এসে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়।
১ নভেম্বর ইউরোপের দেশটিতে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ লাখ ১৬ হাজারে। সেখান থেকে একমাস পর গত ১ ডিসেম্বর সেই সংখ্যা বেড়ে ২২ লাখ ৩০ হাজার অতিক্রম করে। বর্তমানে ২৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু সুস্থতার সংখ্যা সেই তলানিতেই পড়ে আছে। এতে করে বাড়ছে শঙ্কা।
এআই/এসএ/