২০২০, আমাদের মুক্তি দাও
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
প্রকাশিত : ১২:১৩ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ শুক্রবার
১.
২০২০ সাল যাই যাই করছে, পৃথিবীর সব মানুষ পারলে অনেক আগেই এটাকে ঠেলে বিদায় করে দিত! কারণটা সবাই জানে, করোনা ভাইরাস এখন সবার নার্ভের উপর চেপে বসে আছে। মার্চ-এপ্রিলের দিকে এটা প্রথমবার হামলা করেছে। সবাই কোনোভাবে সেই হামলা সামলে নিঃশ্বাস ফেলার আগেই দ্বিতীয় হামলা! মনে হচ্ছে- আগের থেকেও বেশি তেজি হয়ে ফিরে এসেছে। তার মাঝে খবর পাওয়া যাচ্ছে- ধুরন্ধর ভাইরাস তার রূপ বদল করে আরও বেশি সংক্রামক হয়ে যাচ্ছে। একেই নিশ্চয় বলে- গোদের উপর বিষফোঁড়া! (আজকাল গোদও দেখা যায় না বিষফোঁড়ার কথাও শুনি না কাজেই এই বাংলা প্রবাদটা পাল্টে এখন মনে হয় ‘করোনার উপর ডেঙ্গু’—এই ধরনের একটা কথা চালু করা যেতে পারে!)
২০২০ সাল যখন প্রথম এসেছিল তখন সেটার ওপর আমাদের অনেক আস্থা ছিল। সংখ্যাটাই ছিল সুন্দর ছন্দময় একটা সংখ্যা—২০২০, যখন চোখের দৃষ্টি নিখুঁত হয় সেটাকে ২০২০ ভিশন বলা হয়। আমাদের জন্যও সেটা বিশেষ একটা বছর ছিল, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। তার জন্মদিন ১৭ মার্চ, একটা রক্তদান কর্মসূচীতে হাজির থেকে সেই যে ঘরে ঢুকেছি আর বের হতে পারিনি। ভাগ্যিস এই করোনার দুঃসময়ের কারণে অনেক অনুষ্ঠান পিছিয়ে নেয়া হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করার জন্য আরও নয় মাসের জন্য সময় নেওয়া হয়েছে।
পৃথিবীর জন্যও বছরটির ভালো অবদান খুব বেশি নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্প নামের মানুষটি ইলেকশনে হেরেছে- সেটি ভালো একটা খবর হতে পারতো! কিন্তু সেই দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ বর্ণবাদী, আর তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পেরই ভক্ত- এটা জানার পর স্বস্তি পাওয়ার সুযোগ কোথায়? শুধু তাই না, পৃথিবীর বড় বড় দেশ যে আসলে ভুয়া ধরনের এবং প্রচণ্ড স্বার্থপর, সেটাও এই ধাক্কায় টের পাওয়া গেছে। তারা ভাইরাসের টিকা প্রয়োজনের থেকেও অনেক বেশি শুধু যে কিনে রেখেছে তাই নয়, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য তাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। বেছে বেছে দরিদ্র এবং বুড়ো মানুষদের রীতিমতো অবহেলায় মারা যেতে দিয়েছে!
(বুড়ো মানুষদের অবহেলার ব্যাপারে আমাদের দেশ খুব পিছিয়ে আছে সেটাও বলা যাবে না, এই দেশেও জ্বর উঠেছে বলে একটা আস্ত পরিবার জঙ্গলে তাদের বৃদ্ধা মা’কে ফেলে চলে গিয়েছিল—এরকম অমানবিক উদাহরণ সারা পৃথিবী খুঁজেও আরেকটি পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ।)
২০২০ বছরটিকে আমাদের দেশের জন্য একটা দুঃখের বছর বলা যায়। পৃথিবীর হিসেবে- আমাদের দেশে করোনায় খুব বেশি মানুষ মারা যায়নি, কিন্তু প্রিয় মানুষের মৃত্যুর হিসেবে এই বছরটি রীতিমত একটি অভিশপ্ত বছর হিসেবে থেকে যাবে। শুধু যে প্রিয় মানুষেরা মারা গেছেন তা নয়, তাদের মৃত্যুর পর আমরা যে তাদের জন্য আমাদের ভালোবাসাটুকু দেখাবো, সেটাও সম্ভব হয়নি। অনেকেই হয়তো সরাসরি করোনায় মারা যাননি, কিন্তু করোনার কারণে ঠিকভাবে চিকিৎসা নিতে না পেরে মারা গেছেন, দায়টুকু ঘুরে ফিরে করোনাকেই নিতে হবে।
২০২০ সালের করোনাকালে যে ভালো কিছু একেবারেই ঘটেনি, তা নয়। কে জানতো পুরোপুরি ঘরে আটকা থেকেও ইন্টারনেটে এত রকম মিটিং করা যায়! আমি নিজের দেশে তো বটেই পৃথিবীর আরও কত দেশে যে কত রকম মিটিং করেছি, কত বক্তৃতা দিয়েছি- সেটা বলে শেষ করা যাবে না। তবে সমস্যা হচ্ছে- অল্প কয়জনের মিটিং হলে মোটামুটি চালিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু যখন দাবি করা হয় যে, এটা পাবলিক মিটিং, অনেকে দেখেছে কিন্তু আসলে আমি ল্যাপটপের নির্বোধ ক্যামেরা ছাড়া আর কিছু দেখছি না সেটা আমার জন্য গ্রহণ করা কঠিন।
কাজেই ২০২০ সালকে শুধু গালাগাল করা মনে হয় ঠিক হবে না। এই বছরের করোনার সময় দেশের অনেক মানুষের ভেতরকার শুভ বোধগুলো নতুন করে প্রকাশ পেয়েছে। অন্যকে সাহায্য করার জন্য কত ভিন্ন ধরনের কাজ মানুষ করেছে সেগুলো দেখে মানুষের মনুষ্যত্ববোধের উপর নতুন করে বিশ্বাস ফিরে এসেছে।
২.
২০২০ সাল নিরবিচ্ছিন্নভাবে একটি খারাপ বছর নয়, কিন্তু এই বছরে আমাদের দেশের দুটি ঘটনা আমার গায়ে জ্বালা ধরিয়ে গেছে। দুঃখটা অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করে দেখি যে, মানসিক যন্ত্রণা একটুখানি হলেও কমানো যায় কিনা!
প্রথমটি সবাই নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারবে। সেটি হচ্ছে- হেফাজতে ইসলামের নেতাদের ভাস্কর্য নামে শিল্পের একটি বিশেষ ধারার বিরুদ্ধে হুংকার। দেশে এটা নিয়ে একটা বিশাল প্রতিক্রিয়া হয়েছে। কিন্তু আমার জানার কৌতুহল হচ্ছে- যদি এটা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য না হয়ে সাধারণ ভাস্কর্য হতো তাহলে প্রতিক্রিয়াটা কী রকম হতো। হেফাজতের নেতৃবৃন্দের নানা ধরনের কাজকর্ম দেখে আমি মোটেই অবাক হই না। আলাদাভাবে আমার বিরুদ্ধে তাদের এক ধরনের বিশেষ ক্রোধ আছে, আমি সেটাও জানি।
কোনও একটি প্রতিষ্ঠান ‘ভূমিকম্পের সময়ে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হয়’- সে সম্পর্কে কিছু কথা লিখে আমার একটা বিশাল ছবিসহ সিলেট শহরের মোটামুটি কেন্দ্রস্থলে একটা বিলবোর্ড তৈরি করে টানিয়ে রেখেছিল। একদিন হেফাজতের একটি মিছিল সেটাকে টেনে নামিয়ে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলল।
২০১৩ সালে মে মাসের ৫ তারিখ গভীর রাতে হেফাজতের একজন কর্মী আমাকে একটা এসএমএস পাঠিয়ে জানিয়েছিল- আজ রাতে প্রধানমন্ত্রীসহ আমাদের সবাইকে জবাই করা হবে! সেই এসএমএসটিতে একটা টেলিফোন নাম্বারও দেওয়া ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেই এসএমএস কিংবা টেলিফোন নাম্বারটিতে আগ্রহ আছে কিনা আমার জানা নেই।
অতিসম্প্রতি যখন আমাদের বাংলাদেশের গণমাধ্যমে হঠাৎ করে হেফাজতের এই নেতাদের বাড়াবাড়ি সমাদর করে তাদের সব ধরনের অনুষ্ঠানে ডাকাডাকি শুরু করে দিলো, তখন আমি আবার আমার নামটি দেখতে পেলাম। তারা আলাদাভাবে আমার সম্পর্কে নানা ধরনের বক্তব্য রেখে যাচ্ছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এই ধরনের বক্তব্য রাখা যায় কিনা সেটা নিয়েও কারও কোনও মাথাব্যথা নেই। সেই ধরণের বক্তব্য জঙ্গিদের সেই মানুষটিকে খুন করে ফেলতে উৎসাহী করে, কিন্তু তাতে কী আসে যায়? হয়তো সেটাই সত্যিকারের লক্ষ্য।
ডোনাল্ড ট্রাম্প সারা পৃথিবীকে দেখিয়েছেন যে, ভালো-খারাপ বলে কিছু নেই। ক্রমাগত টেলিভিশনে কিংবা সংবাদমাধ্যমে হেডলাইন হয়ে থাকতে হবে, তাহলেই কাজ উদ্ধার হয়ে যাবে। হেফাজতের ভাস্কর্য বিরোধী নেতারা সেটা ভালোভাবে জানেন এবং আমাদের সংবাদমাধ্যম তাদের ফাঁদে পা দিয়ে ক্রমাগত তাদেরকে গুরুত্ব দিয়ে খবর পরিবেশন করে যাচ্ছেন! এখন সবাই তাদেরকে চেনে।
আমার এই বিষয়গুলোর কোনোটি নিয়েই বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। আমি শুধু বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করেছি তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চাইছে! প্রধানমন্ত্রীর দেখা অবশ্য পায়নি, কিন্তু তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেখা পেয়েছে। অন্য কেউ এভাবে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা করলে সাথে সাথে তাকে গ্রেপ্তার করা হতো, কিন্তু হেফাজতের নেতারা বঙ্গবন্ধুর অবমাননা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিজের হাতে আমাদের দেশের আদর্শ এবং সংস্কৃতি বিরোধী দাবীদাওয়া দিয়ে আসতে পেরেছে। কী অবিশ্বাস্য একটি ব্যাপার! নিজের চোখে দেখেও বিশ্বাস হয় না যে, তাদেরকে এই দেশে এভাবে মাথায় তুলে রাখা হয়।
৩.
দ্বিতীয় যে বিষয়টি নিয়ে আমি এক ধরনের যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি, সেটি নিয়ে দেশে খুব একটা আলোচনা হয়নি। যদিও তার কারণটি আমি বুঝতে পারছি না। সারা পৃথিবীর জ্ঞান সূচকে ২০২০ সালে বাংলাদেশ পৃথিবীর ১৩৮টি দেশের ভেতর ১২১ নম্বরে স্থান পেয়েছে। এটা কতটুকু খারাপ সেটা বোঝার জন্য এইটুকু বলাই যথেষ্ট যে, এই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৬টি দেশের ভিতরে বাংলাদেশ সবার পিছনে। এমনকি আমরা পাকিস্তানেরও পিছনে!
যে পাকিস্তানে জঙ্গিরা মেয়েদের লেখাপড়া করতে দেবে না বলে নিয়মিতভাবে মেয়েদের স্কুল পুড়িয়ে দেয়। যে দেশে মালালা নামে একটা মেয়ের মাথায় গুলি করে তাকে নোবেল পুরস্কার পাইয়ে দিয়েছে। যে পাকিস্তান অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত, সারা পৃথিবীর একটি করুণার পাত্র, আমাদের দেশের লেখাপড়া সেই দেশ থেকেও খারাপ। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী বার্ষিকীতে আমরা এই মুকুটটি মাথায় নিয়ে পৃথিবীর সামনে উপস্থিত হব। এই সূচকে পৃথিবীর গড় ৪৬.৭ এবং আমাদের সূচকের মান ৩৫.৯! দেখে মনে হয় আর্তনাদ করে বলি- “হে ধরণী তুমি দ্বিধা হও, আমি তন্মধ্যে প্রবেশ করি!”
কেউ কি অবাক হয়েছে? অবাক হওয়ার কথা নয়! সারা পৃথিবীতে যে দেশে লেখাপড়ার পিছনে সবচেয়ে কম টাকা খরচ করা হয় আমরা সেরকম একটি দেশ। এই দেশের সরকারি প্রাইমারি স্কুলে পড়ে শুধু হতদরিদ্র ছেলে-মেয়েরা। যাদের একটুখানিও টাকা পয়সা আছে- তারা পড়ে ‘কিন্ডারগার্টেনে’। মাধ্যমিক স্কুলের সব ছেলেমেয়ে ঢালাওভাবে কোচিংয়ে পড়াশোনা করে বলেই তাদের যাবতীয় সৃজনশীলতা বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে, তারা শুধু পরীক্ষার জন্য মুখস্ত করে পরীক্ষা দেয়। মাথার ভিতরে হয়তো অনেক তথ্য গিজগিজ করে, কিন্তু সৃজনশীলভাবে তারা ছোট একটি কাজও করতে পারে না।
কলেজে কখনও ক্লাস হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের নিয়োগ পুরোপুরি রাজনৈতিক। তারা নিজেদের দলের লোকদের নিয়ে ব্যস্ত, ছাত্রদের ভালোমন্দ বা তাদের লেখাপড়া নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। (যদি থাকতো- তাহলে বহু আগে সমন্বিতভাবে একটা ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর অত্যাচার করা বন্ধ করে দিতেন, কখনোই করোনাকালে ছেলেমেয়েদের হলে থাকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না করে তাদের পরীক্ষা দিতে ডেকে পাঠাতেন না!)
অনেক নাক উঁচু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সারাদেশে ভাইস-চ্যান্সেলর হওয়ার উপযোগী কাউকে খুঁজে না পেয়ে বিদেশ থেকে ভাইস-চ্যান্সেলর আমদানি করেন! বিশ্ববিদ্যালয় কখনওই পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে না, যদি তারা গবেষণা না করে। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্ডারগ্রাজুয়েট ছাত্র পড়ানোর বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা নিয়ে সেখানে বাজেট নেই, সেটা নিয়ে কারও মাথাব্যথাও নেই।
তাহলে আমাদের দেশের লেখাপড়া যদি সারা পৃথিবীর তুলনায় সবচেয়ে খারাপ লেখাপড়া হয়, অবাক হওয়ার কিছু আছে? নেই...।
এর সমাধান কিন্তু কঠিন নয়- বেশ সোজা। এই দেশের সরকারকে লজ্জার মাথা খেয়ে স্বীকার করতে হবে যে, আমাদের দেশের লেখাপড়ার অবস্থা খুব খারাপ। একটা সমস্যা সমাধান করার প্রথম ধাপ হচ্ছে যে, সমস্যাটি বোঝা। আমরা যদি সমস্যাটিই বুঝতে না পারি তাহলে সেটি সমাধান করবো কেমন করে? (মনে আছে, যতদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্বীকার করেনি যে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, ততদিন সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। যখন স্বীকার করেছে তখন সাথে সাথে ম্যাজিকের মতো সমাধান হয়েছে।)
এখানেও তাই, আমরা যদি মেনে নিই যে- আমাদের দেশের লেখাপড়া নিয়ে বড় ধরনের সমস্যা আছে, শুধু তাহলেই এর সমাধান হবে। তা না হলে আমরা সারাক্ষণ একটার পর আরেকটা কুযুক্তি দিয়ে নিজেদের গা বাঁচিয়ে যাব, সর্বনাশ হবে এই দেশের ছেলেমেয়েদের, তার বাইরে বড় সর্বনাশ হবে দেশের।
৪.
এবারে সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং ব্যক্তিগত একটা বিষয় বলে শেষ করি। আমি ২০১৩ সাল থেকে প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে ‘সাদাসিধে কথা’ নাম দিয়ে পত্র-পত্রিকায় লিখে আসছি— টানা আট বছর। এই দেশের প্রায় সব পত্র-পত্রিকায় সেগুলো একই দিনে প্রকাশিত হয়ে আসছে। আমার মনে হয়েছে, এখন একটু বিরতি দেওয়ার সময় এসেছে। তাই সেই পত্রপত্রিকা, পোর্টাল এবং পাঠকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আপাতত নিয়মিত লেখায় বিরতি দিতে চাই।
আহমদ ছফা বেঁচে থাকলে খুশি হতেন। তিনি একেবারে চাইতেন না যে, আমি ‘বুদ্ধিজীবী’ হওয়ার ভান করে পত্র-পত্রিকায় কলাম লিখি! সব সময় আমাকে বলতেন, “তুমি বিজ্ঞানী মানুষ, লিখতে হলে বিজ্ঞান নিয়ে লিখবে, কেন বুদ্ধিজীবী সেজে কলাম লিখতে যাও?”
কিছুদিন থেকে মনে হচ্ছে- আহমদ ছফা ভুল বলেননি!
২৫ ডিসেম্বর ২০২০
লেখক: শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক।
এনএস/