ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

অবসরে মিলছে না পেনশনের টাকা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০৯ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৪:১১ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ রবিবার

অবসরে গিয়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পেনশনের টাকা। মাসের পর মাস অস্বস্তিতে সময় পার করছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কল্যাণ ট্রাস্ট আর পেনশন বোর্ড বলছে, সঙ্কট আছে। এককালীন বরাদ্দ পেলেই দূর হবে সমস্যা।

তারুণ্যে চাকরি আর বৃদ্ধ বয়সে অবসরকালীন পেনশন ভোগ; জীবনভর এমন স্বপ্নই দেখেন দেশের হাজারো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী।

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, প্রতিবছর আমাদের কাছে ১১ থেকে ১৫ হাজার আবেদন জমা হয়। যদি এখন থেকে প্রস্তুতি না নেওয়া হয় তাহলে সংকট আরও বেড়ে যাবে। এর আগে ১৮ বছরের ২৭৯ কোটি টাকার নিষ্পত্তি করা হয়। এই সরকারের আমলে গত ১১ বছরে আমরা দিয়েছি ৩ হাজার কোটি টাকা। চেক দিয়েছি প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার।

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড সচিব অধ্যক্ষ শরীফআহমদ সাদী বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীরা আশা করতেই পারে, ছয় মাসের মধ্যে যদি টাকাটা পেয়ে যেতাম তাহলে মৃত্যুর আগে এই সুখটা নিয়ে যেতে পারতাম। 

জ্বরাগ্রস্থ জীবনে এসে যথাসময়ে পাচ্ছেন না স্বপ্নের সেই সুযোগ-সুবিধা। যথাসময়ে পেনসনের টাকা দিতে না পারায় কষ্টে আছেন শিক্ষকবান্ধব কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডের দুই সচিব।

অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী আরও বলেন, আমার এই চেয়ারটি আসলে অসহায়। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চোখের লোনাজলে ভাসছে। এই অপেক্ষমান মানুষগুলোকে যদি বিদায় করতে চাই তাহলে আমার প্রায় আড়াই হাজার কোটি দরকার। 

অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, একজন শিক্ষকের কিছু চিন্তা থাকে যে, অবসরের এই টাকাটা দিয়ে আমি হজ করবো, ব্যাংকে এফডিআর করবো, কিংবা ঘর উঠাবো, মেয়েটাকে বিয়ে দিব ইত্যাদি। সে যখন সময় মতো টাকাটা পায় না, তখন তার ভেতর হতাশা কাজ করে। 

কল্যাণ ট্রাস্ট আর অবসর বোর্ড সচিবদের আশা, স্বল্প সময়ে এককালীন বরাদ্দ প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে মিটবে সকল সমস্যা। 

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষক বান্ধব, শিক্ষা বান্ধব তার প্রমাণ আমরা অনেক পেয়েছি। গত ১১ বছরে শিক্ষা খাতে যে অর্জন ৩৯ বছরেও এতো অর্জন হয়নি। সেটাকে বিবেচনায় নিয়ে যদি ১১ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয় তাহলে আমরা আর কোন সংকটে থাকবো না।

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব বলেন, আড়াই-তিনবছর যাবত অপেক্ষা করছে তাদেরকে বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে এদের টাকাটা যেন আমরা দিয়ে দিতে পারি, এরা যেন তার সন্তানের মুখে আহার তুলে দিতে পারে।

ভিডিও-

এএইচ/