ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

পাহাড়-সমুদ্রের সৌন্দর্যে ঘেরা শাহপরীর দ্বীপ

প্রকাশিত : ০৪:৪৩ পিএম, ২৩ মে ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:৩১ পিএম, ২৭ মে ২০১৭ শনিবার

বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অবস্থিত শাহপরীর দ্বীপ।পাহাড়-সমুদ্রের অনিন্দ্য সৌন্দর্যের এক বিস্তীর্ণ দ্বীপ।এটি মূলত সাবরাং ইউনিয়নের একটি গ্রাম। এক সময় এটি দ্বীপ থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কিছুকাল অগে এটি মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। টেকনাফ উপজেলা শহর থেকে শাহপরীর দ্বীপের দূরত্ব প্রায় পনের কিলোমিটার। জনশ্রুতি আছে শাহসুজার স্ত্রী পরীবানুর ‘পরী’ ও শাহসুজার ‘শাহ’ মিলে এ দ্বীপের নামকরণ শাহপরীর দ্বীপ করা হয়েছে। আবার ভিন্ন একটি মতও রয়েছে যে, শাহ ফরিদ আউলিয়ার নামেই এ দ্বীপের নামকরণ করা হয়। শাহপরীর দ্বীপের নামকরণের এরকম আরও অনেক ইতিহাস প্রচলিত আছে স্থানীয়দের কাছে।

শাহপরীর দ্বীপে মোট তিনটি সৈকত রয়েছে। নান্দনিক সৌন্দর্যের চিরায়ত রূপ বহমান এ দ্বীপের প্রাকৃতি সৌন্দর্যের ভিতরে। তবে এ সৈকতগুলোতে নেই কোনো রকম লাইফ গার্ডের ব্যবস্থা। তাই জোয়ার-ভাটার সাংকেতিক কোন চিহ্নও থাকে না। একারণে যদি আপনি সমুদ্রে গোসল করতে চান তবে সৈকতে নামার আগে থেকেই নিজ দায়িত্বে জোয়ার-ভাটা সম্পর্কে জেনে নিন। কোনো অবস্থাতেই ভাটার সময় সমুদ্রে নামবেন না।

যেভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে সরাসরি টেকনাফে যেতে পারেন বা প্রথমে কক্সবাজার গিয়ে সেখান থেকে টেকনাফ যেতে পারেন। কক্সবাজার থেকে আন্ত:জেলা বাস টার্মিনাল থেকে টেকনাফে বাস যায়।আর মাইক্রোবাসগুলো ছাড়ে শহরের কলাতলী এবং টেকনাফ বাইপাস মোড় থেকে। টেকনাফ শহর থেকে জীপে বা সিএনজিতে চড়ে আপনি খুব সহজেই শাহপরীর দ্বীপে পৌঁছুতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন

টেকনাফে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের হোটেল রয়েছে। আপনি নিজের পছন্দ মতো হোটেল বেছে নিতে পারেন। এছাড়া আপনি চাইলে শাহপরীর দ্বীপে তাবু টানিয়ে থাকতে পারেন।